সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মানুষের জন্ম চাকরির জন্য নয়, উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য: প্রধান উপদেষ্টা সিরাজগঞ্জে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড সিরাজগঞ্জের ৫২৫ মণ্ডপে দুর্গা পূজার আয়োজন হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ কমানোর পরিকল্পনা করছে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কমছে কৃষিজমি, বাড়ছে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি ৬৩৮.১৫ কোটি টাকা ব্যয়ের পরেও যমুনার পশ্চিম তীরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ৯৯২ একর জমি সিরাজগ‌ঞ্জে শিশুদের জন্য আধুনিক শিশুপার্ক নির্মাণ সম‌য়ের দা‌বি-মির্জা মোস্তফা জামান যমুনা নদীর ভাঙনরোধে ক্রসবার নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকৃতি ও পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গণ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা চলনবিলের কৃষকদের স্বপ্ন এখন পানির নিচে

বগুড়ায় আন্দোলনকালে গুলিবিদ্ধ শিশু রাতুলকে বাঁচানো গেল না

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১.৪৫ পিএম
ছবি: সংগ্রহীত

অনলাইন ডেস্ক॥

বগুড়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দিয়ে গুলিতে আহত হওয়া ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র শিশু জুনাইদ ইসলাম রাতুল মারা গেছে। ৪৯ দিন ধরে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করা শিশুটি সোমবার সকালে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।

রাতুল বগুড়া উপশহরের পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ওই এলাকার মুদি দোকানি জিয়াউর রহমানের ছেলে।

রাতুলের বাবা জিয়াউর রহমান ঢাকা মেইলকে তার ছেলের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ৫ আগস্ট সকালে নাশতা না করে মায়ের নিষেধ সত্ত্বেও বোন জেরিন সুলতানা ও ভগ্নিপতি আমির হামজার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যায় রাতুল। একসময় মিছিল নিয়ে তারা বগুড়া সদর থানার অদূরে ঝাউতলার কাছে পৌঁছায়। তখন বৈষম্যবিরোধী মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে আহত হয় রাতুল।

রাতুলের বড় বোন জেরিন জানান, তার পাশেই ছিল রাতুল। হঠাৎ রাতুলের মাথায় চারটি ছররা গুলি লাগে। এরমধ্যে একটি গুলি রাতুলের বাম চোখের মধ্যদিয়ে মাথায় ঢুকে যায়। এরপর আরও অসংখ্য গুলি লাগে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায়। অজ্ঞান অবস্থায় তার বোন জেরিন ও তার ভগ্নিপতি তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তাকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতলে নিতে বলেন। পরে ঢাকায় নেওয়ার পর তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। মগজের ভেতর থেকে একটি গুলি বের করেন চিকিৎসকরা। রাতুলের জন্য কৃত্রিমভাবে শ্বাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন রাতুল বেঁচে ফিরলেও চিরদিনের জন্য দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর বেঁচে ফেরা হলো না রাতুলের। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে না ফেরার দেশে চলে যায় শিশুটি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 The Daily Sky
Theme Developed BY ThemesBazar.Com