ডেস্ক রিপোর্ট॥
জ্বালানি খাতের জন্য অপার সম্ভাবনা জাগানিয়া অঞ্চল এখন ভোলা। দেশে বর্তমানে মজুত থাকা ৮ দশমিক ৪৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ১৫ শতাংশের বেশি বিদ্যমান দ্বীপজেলাটির তিন গ্যাসক্ষেত্রে।
ভূতাত্ত্বিকরা মনে করছেন, এ অঞ্চলে আরো বেশি গ্যাস মজুদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২৮ সালের মধ্যে দ্বীপ জেলাটিতে নতুন ৯টি কূপ খননের লক্ষ্য সরকারের। এজন্য নতুন কর্মপরিকল্পনাও তৈরি করেছে বাপেক্স।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলছেন, কেবল স্থল নয়, জলভাগ থেকেও জ্বালানি সম্পদ পেতে চালানো হবে জরিপ।
ভূতত্ত্ববিদদের মতে, ভোলায় সম্ভাবনা আছে জ্বালানি সম্পদের এমন আরো আধারের সন্ধান পাওয়ার। এমন বাস্তবতায় দেশজুড়ে জ্বালানির চাহিদা মেটানোর হিমশিম পরিস্থিতি সামলাতে প্রাধান্য পাচ্ছে অনুসন্ধান কার্যক্রম। বর্তমান সরকারের নতুন মেয়াদে তাই ভোলায় অন্তত ৯টি কূপ খননের লক্ষ্য ঠিক করেছে জ্বালানি বিভাগ।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, এগোতে পারলে ৫ বছরের মধ্যে ভোলায় দৈনিক গ্যাস উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়াতে পারে ৩৬০ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানির নতুন মজুত সন্ধানে চরফ্যাশন, মনপুরা, জাহাজমারা পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার ত্রিমাত্রিক জরিপের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তাছাড়া শুধু স্থলভাগে নয়, জ্বালানির সন্ধান পেতে নজর দেয়া হচ্ছে ভোলা অঞ্চলে জলভাগেও।
পেট্রোবাংলার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩৮০০ মিলিয়ন বা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। বিপরীতে সরবরাহ রয়েছে ২৫৫০ মিলিয়ন বা ২৫০ কোটি ঘনফুট।
পেট্রোবাংলাসহ জ্বালানি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গ্যাস সংকটের কারণে ২০২০ সালের এপ্রিলের পর এবারই দেশে গ্যাসের সরবরাহ সর্বনিম্ন। এ সরবরাহ ২০২১ সালের শেষ ছয় মাসের গড় সরবরাহ থেকেও কম। সে সময় ডলারের অভাবে স্পট মার্কেট থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বন্ধ ছিল। এলএনজির দামও তখন ছিল আকাশছোঁয়া। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিদিন মোটামুটি ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ পেলেও বড় ধরনের সংকট হতো না।