তবে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, নিজেদের সেনাদের রক্ষা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই’ গ্রহণ করবে।
ডেস্ক রিপোর্ট॥
জর্ডানে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার জেরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে চায় না বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।
কিন্তু সোমবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, নিজেদের সেনাদের রক্ষা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই’ গ্রহণ করবে।
রোববার স্থানীয় সময় সকালে জর্ডানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রান্তে সিরিয়া ও ইরাকের সীমান্ত সংলগ্ন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত ও ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়। অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওই অঞ্চলে অবস্থানরত মার্কিন বাহিনীর ওপর বহু হামলা হলেও এটিই প্রথম প্রাণঘাতী হামলা ছিল। এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যের বিরাজমান উত্তেজনা আরও গুরুতরভাবে বেড়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগনে এক সংবাদ সম্মেলনে অস্টিন মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় ক্ষোভ ও সেনা হতাহত হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে তার বক্তব্য শুরু করেন।
পেন্টাগনে নেটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গের সঙ্গে বৈঠকের আগে তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ও আমি যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর ওপর হামলা বরদাস্ত করবো না। আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের সেনাদের রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবো।”
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, “গতকাল প্রেসিডেন্ট যেমন বলেছেন, আমরা জবাব দেবো আর সেই জবাব বহু স্তরের হতে পারে, পর্যায়ক্রমে আসবে আর সময়ের সঙ্গে চলতে থাকবে।”
তবে বাইডেন প্রশাসনের সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, (যুদ্ধ) পরিস্থিতি আরও বিস্তৃত হোক, তা চান না তারা। ইরানও যুদ্ধ চায় না বলে ধারণা পেন্টাগনের।
পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং সাংবাদিকদের বলেছেন, “নিশ্চিতভাবেই আমরা যুদ্ধ চাই না। আর খোলাখুলি বললে, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ চাইছে এমনটিও দেখছি না আমরা।” তিনি যোগ করেন যে পেন্টাগনের বিশ্বাস ইরানও যুদ্ধ চায় না।
“ওই সরকারের সঙ্গে সামরিকভাবে কোনো সংঘাত চাই না আমরা,” বলেছেন হোয়াইট হাউজের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কারবি। তিনি আরও জানান, বাইডেন তার নিজস্ব পথে (হামলার) জবাব দেওয়া নিয়ে কাজ করছেন।