টিডিএস ডেস্ক॥
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, স্বাস্থ্যখাতসহ বেশ কয়েকটি খাতে সহায়তার জন্য সহজ শর্তে বাংলাদেশকে নতুন করে দুই বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। এ সময় তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, বিশ্বব্যাংক অন্তর্র্বতী সরকারের সংস্কার এজেন্ডাকে সহায়তা করতে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে ঋণ সহায়তা বাড়ানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক চাহিদাগুলো পূরণে সহায়তা করবে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, স্বাস্থ্যখাতসহ বেশ কয়েকটি খাতে সহায়তার জন্য নতুন করে ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, নতুন প্রতিশ্রুতি ছাড়াও, বিশ্বব্যাংক সরকারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বিদ্যমান কর্মসূচি থেকে আরো প্রায় অতিরিক্ত এক বিলিয়ন ডলার পুনঃব্যবহার করবে। বিদ্যমান প্রকল্পগুলোর অর্থ পুনর্বিন্যাস হলে চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে যে সহজ শর্তে ঋণ ও অনুদান দেবে তার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের সংস্কারে অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাংককে নমনীয় থাকতে হবে। পাশাপাশি গত ১৫ বছরের ‘চরম অপশাসন’ থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় সহায়তা করতে হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের দীর্ঘ স্বৈরশাসনকালে দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিরা বাংলাদেশ থেকে বিলিয়ন ডলারের সম্পদ পাচার করেছে। এসব অর্থ ফিরিয়ে আনতে প্রযুক্তিগত সহায়তাও দিতে হবে বিশ্ব ব্যাংককে। একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশকেও ব্যাংকের দক্ষতা বাড়াতে হবে।
বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সংস্কার এবং ট্যাক্স সংগ্রহের প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন করতে বাংলাদেশেকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক।
এর আগে, বাংলাদেশের আর্থিক খাত সংস্কারে প্রায় ১০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল বিশ্বব্যাংক।