ডেস্ক রিপোর্ট॥
শপথ নেওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। যেসব হাসপাতাল-ক্লিনিকের লাইসেন্স নেই সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, নিবন্ধনহীন বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক বন্ধ না হলে মন্ত্রণালয় কঠিন পদক্ষেপ নেবে।
শিশু আয়ানের মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় খাতনা করতে গিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে, তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এরকম কার্যক্রম সমর্থনযোগ্য না।
এর আগে রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করি, তবে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। পাঁচ থেকে পাঁচশ বেডে (বার্ন ইউনিট) উন্নীত করতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। প্রথম প্রথম আমি অনেকের কাছে গিয়েছি। আমাকে অনেকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, এমনকি আমার ফাইল ছুড়ে মেরেছে এরকম ঘটনাও আছে। কিন্তু আমি ধৈর্য ধরেছি। সবার সহযোগিতা পেয়েই এ জায়গায় এসেছি।’
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য আমি চেষ্টা করবো। ওটা করতে পারলে ঢাকা শহরে ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হবে না। আমি প্রত্যেকটা হাসপাতালে যাবো। কী কী সমস্যা আছে, জানবো। তারপর আমি একটা কর্মপরিকল্পনা করবো।
এদিকে, সারাদেশের অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংকের তথ্য পাঠাতে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এসব তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, উপরোক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় অবস্থিত অনিবন্ধিত (লাইসেন্স বিহীন) বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংকের তালিকা বিনা ব্যর্থতায় ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
এর আগেও কয়েকবার অভিযান চালিয়েছে অধিদপ্তর। বন্ধ করা হয়েছে হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এবার নতুন করে উদ্যোগ নিলো অধিদপ্তর।