বিশ্বকাপের জন্য তৈরি করা হয়েছে মোট আটটি স্টেডিয়াম
ডেস্ক রিপোর্ট॥
আর্জেন্টনা ও সৌদি আরবের ম্যাচে সব টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে যাওয়ার ৮০ হাজার ধারণক্ষমতার মাঠটি প্রথম দিনের সব আসন দর্শকে পূর্ণ থাকবে।
এক যুগ আগে আয়োজক দেশ হিসেবে ‘ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২’ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল কাতার। তারপর থেকেই শুরু হয় নিজেদের সক্ষমতাকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার প্রয়াস। সেই ধারাবাহিকতায় বিশ্বকাপের জন্য তৈরি করা হয়েছে মোট আটটি স্টেডিয়াম।
সম্পূর্ণ নতুন স্টেডিয়ামে হবে এবারের বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচ। মঙ্গলবার আর্জেন্টিনা দল সৌদি আরবের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে। কাতারের সবচেয়ে বড় এই স্টেডিয়ামে আজ বিকেল ৪টায় মাঠে নামছে লিওনেল মেসির দল।
পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলা আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মেসি চাইবেন বিশ্বকাপ মিশন যে ভেন্যুতে শুরু হচ্ছে সেই ভেন্যুতেই শেষ করতে। কেননা, ১৮ ডিসেম্বর চলতি আসরের ফাইনাল ম্যাচও হবে লুসাইল স্টেডিয়ামে। এ ছাড়া গ্রুপ পর্বের বেশ কয়েকটি ম্যাচসহ প্রথম সেমিফাইনালের ভেন্যুও নির্ধারণ করা হয়েছে এই স্টেডিয়ামকে।
আর্জেন্টনা ও সৌদি আরবের ম্যাচে সব টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে যাওয়ার ৮০ হাজার ধারণক্ষমতার মাঠটি প্রথম দিনের সব আসন দর্শকে পূর্ণ থাকবে।
দোহার ১৫ কিলোমিটার উত্তরে দুই লাখ জনসংখ্যার পরিকল্পিত একটি শহর লুসাইল। এর নকশা করেছে যুক্তরাজ্যের ফার্ম ফস্টার্স যা তৈরিতে কাতারের ব্যয় হয়েছে ৭৬৭ মিলিয়ন ডলার। প্রাথমিকভাবে ২০১৪ সালে কাজ শুরু হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল। কাজ শেষ হয় ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর।
বিশ্বকাপের পর এই স্টেডিয়ামটিকে সামাজিক কর্মকাণ্ডের বড় একটি স্থান হিসেবে রূপান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। এ কারণে ৮০ হাজার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামটির বেশির ভাগ আসন উঠিয়ে ফেলা হবে।