রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন

আর ৮ বছরের মধ্যে চাঁদে স্থায়ী বসতি

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০২২, ১০.০১ এএম
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট॥

মানুষ চাঁদে বসবাস ও কাজ করতে পারবে ২০৩০ সালের মধ্যেই এবং এই পথেই রয়েছে তারা, এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার একজন কর্মকর্তা।

সায়েন্স এলার্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাসার ওরিয়ন চন্দ্র মহাকাশযান কর্মসূচির নেতৃত্বদানকারী হাওয়ার্ড হু রোববার বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমরা মানুষকে সারফেসে (চন্দ্রপৃষ্ঠে) পাঠাবো, তারা সেখানে বসবাস করবে এবং বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করবে।’

নাসা এরই মধ্যে সফলভাবে আর্টেমিস-১ মিশনে তাদের নতুন ও সবচেয়ে শক্তিশালী স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) উৎক্ষেপণ করেছে এবং এটি সফলতার সঙ্গে ওরিয়ন মহাকাশযানকে চাঁদের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

ওরিয়ন তার ২৫ দিনের বেশি অপারেশনাল সময় অতিক্রম করে ১১ ডিসেম্বর প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করবে।

আর্টেমিস-১ মিশন সফল হলে ২০২৪ সালে আর্টেমিস-২ মিশনে নভোচারী পাঠানো হবে। তবে সে মিশনেও তারা চাঁদের পৃষ্ঠে নামবেন না।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ১৯৭২ সালের অ্যাপোলো মিশনের পর ২০২৫ সালে আর্টেমিস-৩ মিশনে চাঁদের পৃষ্ঠে নভোচারী নামাতে যাচ্ছে নাসা।

প্রথমবারের মতো এই মিশনে চাঁদের বুকে পা রাখবেন একজন নারী নভোচারী। এর আগে অ্যাপোলো মিশনগুলোতে কোনো নারীকে পাঠানো হয়নি।

এবার যেহেতু চাঁদে প্রথম নারীর পদচিহ্ন পড়তে যাচ্ছে, তাই অ্যাপোলোরই যমজ বোন আর্টেমিসের নামে এই মিশনের নামকরণ করা হয়েছে।

নাসার বর্তমান পরিকল্পনা হলো নভোচারীদের তারা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করাবে। সেখানে তারা প্রায় ১ সপ্তাহ পানির চিহ্ন খুঁজে কাটাবে এবং সেখানে এমন কিছুর সন্ধান করবে যা মঙ্গলগ্রহে যাওয়ার পথে রকেটগুলোকে জ্বালানি সহায়তা দিতে পারবে।

তার মানে খনন ও বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম চালানোর জন্য সেখানে স্থায়ী মানব বসতি নির্মাণ করতে হবে।

হু বলেন, ‘আমরা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নয়, বিশ্বের জন্য দীর্ঘমেয়াদি গভীর মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য আমরা প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 The Daily Sky
Theme Developed BY ThemesBazar.Com