আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥
ইউক্রেনের বড় কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৮ জনের প্রাণ গেছে, সঙ্গে ১৩০ জন আহত হয়েছেন। সন্ধ্যার ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া ৪০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল।
জেলেনস্কি বলেন, দুই শতাধিক স্থাপনায় হামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৯টি বাড়িও রয়েছে। উঁচু একটি ভবনে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ভবনটিতে সাধারণ লোকেরা বাস করত। তিনি এর কড়া জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
উত্তর-পূর্বের শহর খারকিভে তিন দফায় হামলা হয়েছে। রাজধানী কিয়েভ, কেন্দ্রীয় ইউক্রেনেও হামলা চালায় রাশিয়া। দক্ষিণের খেরসন টানা বোমা হামলার শিকার হয়।
রাশিয়ার বিরামহীন বোমাবর্ষণ ইউক্রেনীয়দের এক কিনারায় ঠেলে দিয়েছে। দেশটির দেড় হাজার কিলোমিটার ফ্রন্ট লাইন রয়েছে, যেখানে সৈন্যরা পরিখা ও আর্টিলারি যুদ্ধে রয়েছে।
খারকিভের আঞ্চলিক মেয়র ওলেহ সিনিহুবভ বলেন, প্রথম দুটি হামলায় শতাধিক উঁচু অ্যাপার্টমেন্ট ধ্বংস হয়েছে। হামলায় রাশিয়া এস-৩০০, কেএইচ-৩২ ও হাইপারসনিক ইসকান্দার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাবহার করে।
মঙ্গলবার রাতে এক আবাসিক ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনায় হামলায় অনেকে আহত হন।
অন্যদিকে কিয়েভে জরুরি পরিষেবা সংস্থা বলছে, চারটি জেলাজুড়ে হামলার চিহ্ন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে হয়েছে।
২১ বছর বয়সী ড্যানিয়েল বলিউখ রয়টার্সকে বলেন, খুব জোরে একটি বিস্ফোরণ হলো। আমার মা ইতোমধ্যেই বাইরে দৌড়াচ্ছিলেন। তিনি চিৎকার করে বললেন, আমাদের চলে যেতে হবে। আমরা সবাই করিডোরে গেলাম। গিয়ে দেখলাম ভবনগুলোতে আগুন ধরে গেছে।
পশ্চিমের দনিপ্রোর শিল্প শহর পাভলোহরাদ হামলার শিকার হয়েছে। প্রেসিডেন্সিয়াল অফিস বলছে, সেখানে হামলায় একজনের প্রাণ গেছে। দুই স্কুল ও আটটি উঁচু ভবন ধ্বংস হয়েছে।
ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ বলেন, তার দেশের সশস্ত্র বাহিনী ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে।
জাতিসংঘের হিসাবে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ১০ হাজারের বেশি বেসামরিকের প্রাণ গেছে। আর আহত হয়েছেন ২০ হাজার লোক।
ক্রেমলিন অবশ্য মঙ্গলবার বেসামরিকদের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে যে, ক্ষেপণাস্ত্র, বিস্ফোরক এবং গোলাবারুদ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলো তারা হামলা করেছিল।