ডেস্ক রিপোর্ট॥
ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে অবস্থানে বাংলাদেশ ব্যাংক। খেলাপির বিষয়ে এতদিন ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন পরামর্শ দিলেও এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) প্রথমবারের মতো একটি বিশেষ টিম গঠন করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ঋণখেলাপিদের ধরতে ঐ কমিটি সরাসরি যেকোনো ব্যাংকের খেলাপিদের নজরদারি এবং পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে পারবে। তবে কমিটিন সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরির প্রস্তুতি চলছে। এখনো বিস্তারিত কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিও করা হয়েছে। তবে এবার একটু কড়াকড়ি করা হবে। গভর্নর মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে এ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন। পাশাপাশি ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) একটি বিশেষ কমিটি কাজ করছে। এখনো খোলাসা করে বলার মতো কিছু নেই। তবে খেলাপিদের ধরতে কঠোর অবস্থানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ঋণখেলাপি নিয়ে নতুন সরকার বিশেষ গুরুত্বারোপ করছে। সরকারের বিশেষ বার্তা পেয়ে গভর্নরও খেলাপিদের কড়া বার্তা দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় খেলাপিদের ধরতে প্রথমবারের মতো বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বিআরপিডি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে খেলাপি ঋণের আনুষ্ঠানিক অংক ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। (যদিও অনানুষ্ঠানিক খেলাপি ঋণের অংক সাড়ে চার লাখ কোটি টাকার কম হবে না বলে কেউ কেউ মত দিয়েছেন) গড় খেলাপির হার প্রায় ১০ শতাংশ।
এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে সরকারি ব্যাংকগুলো। এসব ব্যাংকের খেলাপির হার প্রায় ২২ শতাংশ। আবার খেলাপি ঋণের মধ্যে শীর্ষ খেলাপিদের কাছে মোট অনাদায়ি অর্থের অংক প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। যদিও আন্তর্জাতিকমানে সহনীয় খেলাপির হার ৩ শতাংশ।
জাতীয় সংসদে দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশের শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের মোট ঋণের পরিমাণ ২১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ হচ্ছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। ২০ জনের তালিকা প্রকাশ করা হলেও মোট ঋণখেলাপির সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ।