রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০০ অপরাহ্ন

ওয়াসার এমডির নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

  • আপডেট সময় রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯.০৯ এএম
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

এফবিডি ডেস্ক॥

জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেছন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে রিট আবেদনটির অনুমতি নেওয়া হয়।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ২০০৯ সালে নিয়োগ পরীক্ষার নম্বর পত্রে ঘষা-মাজা করা হয়েছিল। জালিয়াতি করে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওয়াসার এমডি হওয়ার জন্য পয়োনিষ্কাশন বিষয়ে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। অথচ তার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। নিয়োগ বিধি অনুযায়ী যে যোগ্যতার কথা বলা হয়েছিল, সেটাও তার নেই। তারপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। বিষয়গুলো তদন্ত হওয়া দরকার।

সুমন আরও বলেন, ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিম এ খান ১৩ বছর ধরে পদে আছেন। ১৩ বছরে ৬ টাকা থেকে ১৫ টাকা হয়েছে পানির ইউনিট। হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।

রিটে দুদককে পক্ষ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই কথাগুলো সত্য হলে তার নিয়োগপত্রের তদন্ত হওয়া দরকার। তার নিয়োগপত্রে যা লেখা আছে, তা পৃথিবীর কোনও লোকের নিয়োগপত্রে এমন লেখা থাকে কি না আপনারা দেখবেন, তার নিয়োগ পত্রে লেখা হয়েছে ভবিষ্যতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকালে পরীক্ষা ও নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এর মানেই বোঝা যাচ্ছে দুই নম্বরি হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে। এরপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। এজন্যই আমরা তার নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে তার নিয়োগ অবৈধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়েছি।’

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘জন্মই (নিয়োগ) যার অবৈধ হয়, পরবর্তী সময়ে তার কর্মতে লুটপাট হবে, পানির দাম বাড়বে, ওয়াসার বাজে অবস্থা হবে, পানির মধ্যে ময়লা আবর্জনা পাওয়া যাবে এটাই স্বাভাবিক। এই ধরনের অবৈধ দুর্নীতির মাধ্যমে যে নিয়োগ জনস্বার্থে সেটা বন্ধ করতে হবে। তাই আজকে রিটটি ফাইল করেছি। তার বেতন তো আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতির বেতনের থেকে বেশি। তিনি নাকি আমেরিকায় বসে অফিস করেন।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 The Daily Sky
Theme Developed BY ThemesBazar.Com