নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৪৫ জনে দাঁড়াল।
নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৬১৪ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ৮২৯ জনে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৩৮১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৪ হাজার ৮২৫ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ।
এছাড়া, সবশেষ একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৮৩ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬১ হাজার ২৬০ জন।
এর আগে, সোমবার দেশে করোনায় একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। অন্যদিকে করোনা শনাক্ত হয় ৬০১ জনের দেহে।
গত কয়েকদিন ধরে দেশে আবারো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে করোনার নতুন ঢেউ ঠেকাতে পাঁচ দফা সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। শনিবার রাতে কমিটির এক বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়।
ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত ঐ বৈঠকে (৫৯তম বৈঠক) জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা ছাড়াও কমিটির অন্যান্য সদস্য অংশ নেন।
সভায় কমিটি সবক্ষেত্রে শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ; এখনো যারা করোনার টিকার প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নেননি তাদের টিকা গ্রহণ; বদ্ধস্থানে সভা থেকে বিরত থাকাসহ দাফতরিক কাজ যথাসম্ভব ভার্চুয়ালি সম্পাদন করা; অপরিহার্য সামাজিক অনুষ্ঠান বা সভাসমূহে মাস্ক পরা এবং বেসরকারি পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার ব্যয় কমানোর সুপারিশ করা হয়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরের হুয়ানান সি-ফুড ও বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল। ঐ বাজার ছিল মহামারির কেন্দ্র। একাধিক গবেষণায় এর বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণও পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
এদিকে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ঐ বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।