সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যমুনা নদীর ভাঙনরোধে ক্রসবার নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকৃতি ও পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গণ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা চলনবিলের কৃষকদের স্বপ্ন এখন পানির নিচে যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজার গাড়ি পারাপার: টোল আদায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত, আহত তিন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত দুই ফুট বাঁধই ভরসা, আতঙ্কে নিদ্রাহীন রাত কাটে খুলনা উপকূলবাসীর খুলনা অঞ্চলের ভরত ভায়না দেউল হতে পারে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র খুলনায় সড়ক বিভাগের বাধায় বন্ধ কেসিসির ৭ মোড়ের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ সাবেক এমপি আজিজের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন দুই মাসের মধ্যে: রেলমন্ত্রী

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪, ৭.০৯ পিএম
ছবি: সংগ্রহীত

মন্ত্রী বলেন, কালুরঘাট রেল সেতুর সমীক্ষা শেষ। কোরিয়ান অর্থায়নে নির্মাণ হবে সেতুটি। সময় লাগবে চার থেকে পাঁচ বছর।

ডেস্ক রিপোর্ট॥

আগামী দুই মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। বলেছেন, কালুরঘাট নদীর ওপর রেল সেতু চালু হতে চার থেকে পাঁচ বছর লেগে যাবে।

বুধবার চট্টগ্রাম সফরে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী হওয়ার পর বন্দরনগরীতে প্রথম সফরে গিয়ে জিল্লুর হাকিম পলোগ্রাউন্ড মাঠে রেলওয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ।

এরপর দুপুরে সিআরবির রেলওয়ে বাংলোতে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন।

চট্টগ্রাম- কক্সবাজার পথে ট্রেন কবে চালু হবে- এই প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, “আগামী দুই মাসের মধ্যে চালু হবে।”

একজন সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন, “সেটা আন্তঃনগর নাকি কমিউটার ট্রেন?”

জবাবে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, “চারটা সূচি করে রেখেছি। দুই মাসের মধ্যে আমরা একটা চালু করব।

“ইঞ্জিন ও চালকের সমস্যা প্রকট। ইঞ্জিনের ব্যবস্থা যদি করে ফেলতে পারি, চট্টগ্রাম থেকে যত তেলের গাড়ি, যত খাদ্যশস্য, যত কনটেইনার, সব চট্টগ্রাম থেকে সাপোর্ট দিচ্ছে।

“এখন যদি চালু করতে হয়, কনটেইনার ট্রেন বন্ধ করে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু করতে হবে। খুব শিগগিরই চালু করব।”

এরপর রেলমন্ত্রী বলেন, “আমরা যেভাবে হোক শুরু করি। যেটা অ্যাভেইলেবল হয়, সেটা আমরা শুরু করব।”

রেলের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান আরেক প্রশ্নে বলেন, “এখন চাহিদার প্রেক্ষিতে আমরা দুই জোড়া (ঢাকা-কক্সবাজার রুট) আন্তঃনগর ট্রেন চালাচ্ছি। এখন আরো বেশি ট্রেন চালালে প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।

“প্রকল্পের কাজ শেষ করেই আগামী ২ মাসের মধ্যে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম কমিউটার ট্রেন চালাব। সেই ট্রেন সবগুলো স্টেশনেই থেমে থেমে যাবে যাতে করে আপামর জনতা রেলের সুবিধা পায়। তাছাড়া চট্টগ্রাম থেকে আমরা ননস্টপ ট্রেনও চালাব।”

চট্টগ্রামে পূর্ব রেলের সদরদপ্তর সিআরবিতে রেল মন্ত্রীকে স্বাগত জানান কর্মকর্তারা

রেলের জমি অবৈধ দখলে রাখার বিষয়ে আরেক প্রশ্নে রেলমন্ত্রী বলেন, “রেলের জায়গা যে সুযোগ পায় সেই দখল করে। আমরা চেষ্টা করছি জায়গাগুলো উদ্ধার করার। দেখবেন অনেক প্রভাবশালী লোকজন দখল করে আছে। যাদের প্রয়োজন নেই, তারা দখল করে আছে।

“তাদের বলব, অন্যায় করে মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারে না। আপানারা অবৈধ দখল ছেড়ে দেন। না হলে রেল বাধ্য হবে দখলমুক্ত করতে।”

কালুরঘাট সেতু কবে

পূর্ব রেলের সদরদপ্তর সিআরবির রেলওয়ে বাংলোতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর মন্ত্রী আবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।

কালুরঘাটে রেলসেতু কবে নির্মাণ হবে- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটার সমীক্ষা শেষ। কোরিয়ান অর্থায়নে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ করা হবে। কালুরঘাটের মতো ব্রিজ একটা নির্মাণ করতে তো সময় লাগবে। চার-পাঁচ বছরের মধ্যে ইনশাআল্লাহ চালু হয়ে যাবে।”

রেলের ইঞ্জিন সংকট নিয়ে মন্ত্রী বলেন, “অনেক ইঞ্জিন আমদানি করা হয়েছে। সেগুলো পেয়েছি। আরো ইঞ্জিন আমদানি হচ্ছে, কোচও আমদানি হচ্ছে। রেলপথ আরো সম্প্রসারিত হবে। প্রায় প্রত্যেক জেলায় রেল যাবে।”

রেল এখন দক্ষ কর্মীর অভাবে ভুগছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, “এক সময় সব বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতই অবস্থা হয়েছিল; গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দিয়ে, তারপর সব লাইনগুলো বন্ধ করে দিয়ে। যেমন: আমাদের এলাকায় ফরিদপুর লাইন বন্ধ করে দেয়, লাইন তুলে ফেলাও শুরু করেছিল। রাজবাড়ীতে একটা লোকোশেড ছিল, সেটাও বন্ধ করে দিয়েছিল।

“ওইসময় যারা গোল্ডেন হ্যান্ডশেকে চলে গিয়েছিল, ওই দক্ষ লোকগুলো আমরা তো পাচ্ছি না। এর মধ্যেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রেলের অনেক শ্রী বৃদ্ধি ঘটিয়েছেন। নতুন নতুন লাইন সম্প্রসারণ করেছেন।”

রেলে নতুন লোক নিয়োগ ও তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “একজন অনভিজ্ঞ মানুষকে দিয়ে তো ইঞ্জিন চালাতে পারব না। ট্রেন পরিচালনার জন্য গার্ড দরকার। অন্যান্য যে টেকনিক্যাল লোকজন দরকার, সেগুলোও নাই।”

লোকবল সংকট সমাধানে কী উদ্যোগ- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে কয়েকটা বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। ৫ হাজারের মত নতুন নিয়োগ হয়েছে। এখন প্রশিক্ষণ পর্যায়ে আছে।”

‘আমি তো শিক্ষানবিশ’

সিআরবি বাংলোতে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রশ্নের জবাবে জিল্লুল হাকিম বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। রেল নিয়ে যে আকাঙ্ক্ষা তা বাস্তবায়ন করার জন্য আমি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে রাজি আছি।

সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি বলেন, “এখন তো আমি শিক্ষানবিশ। আগে আমার জানতে হবে, বুঝতে হবে। শিখতে হবে। তার পরে আমি জবাব দিতে পারব।

“যেমন আমাকে যদি বলেন যে, অমুক প্রজেক্ট কবে চালু হবে? এটা তো আমি তাৎক্ষণিকভাবে বলতে পারব না। আমার উনাদের (কর্মকর্তাদের) শরণাপন্ন হতে হবে।”

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 The Daily Sky
Theme Developed BY ThemesBazar.Com