শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সাবেক এমপি মমিন মন্ডলের পিএস সেলিম গ্রেফতার স্বামী-সন্তানসহ হেনরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এনায়েতপুর থানা লুট, পুকুর সেচে মিলল অস্ত্র সিরাজগঞ্জে ৫০৩ মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূঁজা: প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা সিরাজগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে ৯২ কেজি গাঁজাসহ ২ জন আটক ১০৩ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ রেখে গেছে আওয়ামী সরকার সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে প্রতিযোগিতা ছাড়া কাজ দেওয়া হবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা গুলি করার হুমকি দিয়ে কৃষকের ৭ গরু চুরি সংস্কার চলা দেশের ব্যাংকিংখাতে সহায়তার আশ্বাস বিশ্বব্যাংকের

ডলার নিয়ে সুখবর, রেমিট্যান্সেও সুবাতাস

  • আপডেট সময় শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪, ৪.৪৬ পিএম
ছবি: সংগ্রহীত

ডেস্ক রিপোট॥

কেন্দ্রীয় ব্যাংক নড়েচড়ে বসায় দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলমান ডলার সংকট কিছুটা কমেছে। বেপরোয়া হয়ে ডলার কারসাজিতে জড়িয়ে পড়া ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারদের শাস্তির আওতায় আনার পর সতর্ক অবস্থানে রয়েছে অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানও। বর্তমানে সবমিলিয়ে দেশে ডলারের সংকট কিছুটা কমেছে। একই সঙ্গে টানা কয়েক মাস রেমিট্যান্সেও বইছে সুবাতাস।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এলসি পেমেন্ট দিতে না পারায় একসময় প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স কেনায় মরিয়া হয়ে উঠেছিল ব্যাংক। ফলে প্রতি ডলারের দাম উঠেছিল ১২০ টাকায়। তবে এখন প্রবাসী আয়ের ডলার ১১৪ থেকে ১১৫ টাকা দামে পাওয়া যাচ্ছে। প্রবাসী আয়ের ডলারের দাম কমায় ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ১১০ টাকায় নেমে এসেছে। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোতে যে তারল্য সংকট ছিল, সেটাও কমে এসেছে কিছুটা।

ডলার কারসাজিতে জড়িয়ে পড়া বেপরোয়া ব্যাংক ও মানি চেঞ্জাররা শাস্তির আওতায়। সতর্ক অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানও।

খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ডলার সংকট কমে আসার পেছনে কয়েকটি উদ্যোগ কাজে এসেছে। এর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ি আরোপের কারণে আমদানি কমে আসা। একইভাবে ডলারের দাম নিয়ে কড়াকড়ি অবস্থান থেকে সরে আসায় রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বেড়েছে। পাশাপাশি ডলারের বিপরীতে টাকা অদল-বদলের (সোয়াপ) সুবিধার কারণে সংকট কিছুটা কমে এসেছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই দেশে ডলারের সংকট শুরু হয়। দুই দেশের এ যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ে। এতে আমদানি খরচ হঠাৎ বেড়ে যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই ২০২২ সালের জুনে ৮৩৭ কোটি ডলারের আমদানি দায় শোধ করতে হয় বাংলাদেশকে। এরপর ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়ি আরোপ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এলসি খোলার বিপরীতে শতভাগ পর্যন্ত নগদ টাকা জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়।

এখন প্রবাসী আয়ের ডলারের দাম ১১৪ থেকে ১১৫ টাকা। ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম নেমেছে ১১০ টাকায়। কমেছে ব্যাংকের তারল্য সংকটও।

এর ফলে কমতে থাকে আমদানি দায়। কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আমদানি দায় পরিশোধ হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। এ মাসে আমদানি দায় পরিশোধ হয় ৪৬৭ কোটি ডলারের। তার আগের মাস জানুয়ারিতে আমদানি দায় পরিশোধ হয়েছিল ৫৯৬ কোটি ডলারের। আমদানি দায় পরিশোধ হলো সংশ্লিষ্ট মাসের প্রকৃত ডলার খরচ। ফলে এ হিসাবে দেখা যায় ডলারের ওপর চাপ কিছুটা কমে এসেছে।

এরই মধ্যে সুবাতাস বইছে রেমিট্যান্সে। ধারাবাহিকভাবে কিছুটা উন্নতির দিকে অর্থনীতির অন্যতম এ সূচক। গত ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। এরপর জানুয়ারিতে আসে ২১১ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়ায় ২১৬ কোটি ডলারে। চলতি মার্চের প্রথম ২৬ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৭২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এ মাসেও রেমিট্যান্স দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 The Daily Sky
Theme Developed BY ThemesBazar.Com