বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আ’লীগ করার সুফল ১৫ বছরে অবৈধ সম্পদের পাহাড়॥ হেনরী ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অবশেষে দুদকের ২ মামলা পরিবারের জিম্মায় মুক্ত হলেন সাংবাদিক মুন্নী সাহা যমুনা রেলওয়ে ব্রীজ: পরীক্ষামুলক ট্রেন চলাচল শুরু সিরাজগঞ্জে বাসচাপায় দুই মোটর সাইকেল আরোহী নিহত সিরাজগঞ্জ পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি ফিলিপস কারাগারে এস আলমের সঙ্গে আর ব্যবসায়ে আগ্রহী নয় ব্যাংকগুলো, বন্ধ হয়ে গেছে তেল-চিনি কারখানা ঠিকাদারের খোঁজ নেই, ছয় বছরেও শেষ হয়নি ২২ কোটির আইটি প্রকল্পের কাজ নভেম্বরে ১৩ শতাধিক সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয় কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি অবৈধ ছিল: হাইকোর্ট আগে সংস্কার, এরপর নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

ডোবায় পুঁতে রাখা শিশু মুনতাহার লাশ পুকুরে ফেলতে গিয়েছিলেন প্রতিবেশী নারী: পুলিশ

  • আপডেট সময় রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ১.৩৪ পিএম
  • ২০ বার পড়া হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

সিলেট সংবাদদাতা॥

সিলেটের কানাইঘাট থেকে নিখোঁজ হওয়া শিশু মুনতাহা আক্তারের (৫) লাশ উদ্ধারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির লাশ মূলত ডোবায় কাদার মধ্যে পুঁতে রাখা ছিল। সন্দেহভাজন এক তরুণী আটক হওয়ার পর তাঁর মা ঘটনাকে অন্য রূপ দিতে লাশ ডোবা থেকে তুলে আজ রোববার ভোরে শিশুটির বাড়ির পাশে একটি পুকুরে ফেলে আসতে যান। তবে পথে স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হন ওই নারী।

আটক ওই নারীর নাম আলিফজান (৫৫)। তিনি কানাইঘাট সদর উপজেলার বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের বাসিন্দা। আর শিশু মুনতাহা একই গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে। শিশুটি ৩ নভেম্বর নিখোঁজ হয়। আজ ভোর চারটার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

শিশুটির লাশ উদ্ধারের পর স্থানীয় বিক্ষুব্ধ লোকজন আলিফজানের বাড়ি ভাঙচুর করে তাতে আগুন দেন। পরে এসে পুলিশ তাঁদের নিবৃত্ত করে।

পুলিশ বলছে, লাশ উদ্ধারের সময় শিশু মুনতাহার শরীরে কাদা লেগে ছিল। গলায় রশিজাতীয় কিছু প্যাঁচানো ছিল। এতে সন্দেহ করা হচ্ছে, গলায় রশিজাতীয় কিছু দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩ নভেম্বর বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল মুনতাহা। বিভিন্নভাবে খোঁজ করেও পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। সর্বশেষ শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে পুলিশ গতকাল শনিবার রাতে প্রতিবেশী মার্জিয়া আক্তার (২৫) নামের এক তরুণীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। মুনতাহাকে প্রাইভেটও পড়াতেন মার্জিয়া। মার্জিয়াদের বাড়িতে তাঁর মা আলিফজান ও বৃদ্ধ নানি থাকেন।

সিলেটের সহকারী পুলিশ সুপার (কানাইঘাট সার্কেল) অলক কান্তি শর্মা বলেন, মুনতাহা নিখোঁজের ঘটনায় গতকাল রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রতিবেশী মার্জিয়া আক্তারকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। মেয়েকে আটকের পর মার্জিয়ার মা মনে করেছিলেন, পুলিশ সবকিছু জেনে গেছে। এ জন্য রাতেই ডোবায় পুঁতে রাখা মুনতাহার লাশ তুলে পুকুরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু প্রতিবেশীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে পুকুরে লাশ ফেলে দেওয়ার আগেই তাঁকে আটক করে। এ সময় শিশুটিকে নিজের কোল থেকে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন আলিফজান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ও আলিফজানকে আটক করে।

পুলিশ কর্মকর্তা অলক কান্তি শর্মা বলেন, এ ঘটনায় আটক আলিফজান ও মার্জিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তাঁরা বলেছেন, মুনতাহার বাবার সঙ্গে তাঁদের বিরোধ আছে। তবে কী নিয়ে বিরোধ, তা জানা যায়নি। নিহত শিশু মুনতাহার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরে প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলা করতে গিয়েছিল মুনতাহা। কিন্তু বিকেল হলেও বাড়ি না ফেরায় খোঁজ নিতে গিয়ে মুনতাহার আর সন্ধান পাওয়া যায়নি। শিশুটি নিখোঁজের পর থেকে পরিবার দাবি করে আসছিল, পরিকল্পিতভাবে মুনতাহাকে অপহরণ করা হয়েছে। নিখোঁজের ঘটনায় কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছিল তারা। শিশুটিকে খুঁজে পেতে পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পরিবার। তবে সবকিছুর শেষে আজ ভোরে শিশুটির লাশ পাওয়া গেল।সিলেটে নিখোঁজের ৭ দিন পর শিশু মুনতাহার লাশ উদ্ধার

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 The Daily Sky
Theme Developed BY ThemesBazar.Com