বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আ’লীগ করার সুফল ১৫ বছরে অবৈধ সম্পদের পাহাড়॥ হেনরী ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অবশেষে দুদকের ২ মামলা পরিবারের জিম্মায় মুক্ত হলেন সাংবাদিক মুন্নী সাহা যমুনা রেলওয়ে ব্রীজ: পরীক্ষামুলক ট্রেন চলাচল শুরু সিরাজগঞ্জে বাসচাপায় দুই মোটর সাইকেল আরোহী নিহত সিরাজগঞ্জ পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি ফিলিপস কারাগারে এস আলমের সঙ্গে আর ব্যবসায়ে আগ্রহী নয় ব্যাংকগুলো, বন্ধ হয়ে গেছে তেল-চিনি কারখানা ঠিকাদারের খোঁজ নেই, ছয় বছরেও শেষ হয়নি ২২ কোটির আইটি প্রকল্পের কাজ নভেম্বরে ১৩ শতাধিক সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয় কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি অবৈধ ছিল: হাইকোর্ট আগে সংস্কার, এরপর নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

দিদি কি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন?

  • আপডেট সময় সোমবার, ৩ মে, ২০২১, ১১.৫৮ এএম
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ব্যনার্জির দল ভূমিধস জয় পেলেও তিনি নিজে হেরে গেছেন। এবার মাত্র একটি আসনেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মমতা ব্যানার্জি। ওই আসনে হেরে যাওয়ায় তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

পরাজয় সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিতে পারবেন কি না এ ব্যাপারে ভারতের সংবিধানে স্পষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে। ভারতীয় সংবিধানের ১৬৪ (৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ভারতের বিধায়ক না হয়েও যে কেউ মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে শপথ নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই কোনো আসন থেকে জিতে আসতে হবে তাকে।

এর অর্থ হলো—মমতা ব্যানার্জি ছয় মাসের জন্য শপথ নিতে পারবেন, তবে এ সময় বাড়াতে হলে এর মধ্যে তাকে কোনো আসন থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে জিতে আসতে হবে। যদি উপনির্বাচনেও তিনি হেরে যান, তাহলে পদ থেকে ইস্তেফা দিতে হবে তাকে।

ভারতে এমন নজিরের অবশ্য অভাব নেই। এর আগে মমতা নিজেই এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস যখন পশ্চিমবঙ্গে প্রথমবারের মতো সরকার গড়লো তখন মমতা ব্যানার্জি বিধায়ক না হয়েই শপথ নিয়েছিলেন। সে সময় মমতা লোকসভা সদস্য হওয়ায় বিধায়ক হতে পারেননি। তবে শপথ নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই ভবানীপুর থেকে নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি।

তবে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর উপনির্বাচনেও হেরে গেলে তার দলই ক্ষমতায় থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী পদে অন্য কাউকে বসাতে হবে তৃণমূলকে। তবে অন্য নজিরও আছে। ২০০৯ সালে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিধায়ক না হয়েই শপথ নিয়েছিলেন শিবু সোরেন। পরে উপনির্বাচনেও হেরে যাওয়ায় পুরো সরকারকেই ইস্তেফা দিতে হয়। ঝাড়খণ্ডে সে সময় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গে এবারের নির্বাচনে টানা আট দফা ভোট গ্রহণ শেষে রোববার ভোট গণনা হয়। এতে দেখা যায় রাজ্যটিতে ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২০০টির বেশি আসন পেয়েছে মমতা ব্যানার্জির দল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে নির্বাচনের ফলপ্রকাশ নিয়ে সবচেয়ে বিভ্রান্তি ঘটেছে নন্দীগ্রাম নিয়ে। প্রথমে মমতাকে জয়ী বলা হলেও পরে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রিটার্নিং অফিসারওই আসনে ফলাফল প্রকাশ করেন। এতে দেখা যায়, নন্দীগ্রামে ১ লাখ ৯ হাজার ৬৭৩ ভোট পেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতা ব্যানার্জি  পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৯৩৭ ভোট।  শুভেন্দু অধিকারী মমতা ব্যানার্জীরই এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। গত ডিসেম্বরে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।

তবে নিজে হারলেও দলের জয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘বাংলার জয়ের জন্য সকলকে অভিনন্দন। বাংলার জয়, মানুষের জয়।’ ঐতিহাসিক জয়ের পরেও বড় করে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে না বলে বার্তা দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতির কথা উল্লেখ্য করে তিনি জানান, এমন অবস্থায় কোনো বিজয় মিছিল হবে না, এমনকি শপথ অনুষ্ঠানও হবে ছোট পরিসরে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 The Daily Sky
Theme Developed BY ThemesBazar.Com