ডেস্ক রিপোর্ট॥
কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। কালবৈশাখীর আঘাতে গাছ ও ঘর ভেঙে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন ৪ জন। এছাড়া আহত শতাধিক। ঝড়ে বহু গাছ উপড়ে পড়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়ি। জেলাজুড়ে অনেক জায়গাতেই কম-বেশি ঝড়ের তাণ্ডব চললেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর ও ময়নাগুড়ির বার্নিশ এলাকায়। এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ঝড়ের কবলে পড়ে মৃতরা হলেন জলপাইগুড়ির সেনপাড়ার দিজেন্দ্র নারায়ণ সরকার (৫২), পাহাড়পুরের অনিমা বর্মন (৪৫), ময়নাগুড়ির পুটিমারির জগেন রায় (৭২) এবং ময়নাগুড়ির রাজারহাটের সমর রায় (৬৪)। এর পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলাতেও ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঝড়ে রাস্তার উপর গাছ পড়েছে। সদর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। অনেক বিদ্যুতের খুঁটিও উপড়ে গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের কমকর্তারাও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বহু টিনের বাড়ির চাল উড়ে গেছে। দমকল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপন দফতরের কর্মীরা উদ্ধারকাজে নেমেছেন।
উত্তরবঙ্গে আগামী দু-তিনদিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী এদিন উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি হয়।
জলপাইগুড়ির ঝড় বিধ্বস্তদের প্রতি শোক জানিয়ে টুইট করেছেন ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রোববার রাতে এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন তিনি। বিধ্বস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে বাংলার বিজেপি কর্মীদেরও ঝড় বিধ্বস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়িতে ঝড়
বিধ্বস্ত পরিবারগুলোর পাশে রয়েছি। যারা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের পরিবারকেও সমবেদনা জানাচ্ছি।