শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আ’লীগ করার সুফল ১৫ বছরে অবৈধ সম্পদের পাহাড়॥ হেনরী ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অবশেষে দুদকের ২ মামলা পরিবারের জিম্মায় মুক্ত হলেন সাংবাদিক মুন্নী সাহা যমুনা রেলওয়ে ব্রীজ: পরীক্ষামুলক ট্রেন চলাচল শুরু সিরাজগঞ্জে বাসচাপায় দুই মোটর সাইকেল আরোহী নিহত সিরাজগঞ্জ পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি ফিলিপস কারাগারে এস আলমের সঙ্গে আর ব্যবসায়ে আগ্রহী নয় ব্যাংকগুলো, বন্ধ হয়ে গেছে তেল-চিনি কারখানা ঠিকাদারের খোঁজ নেই, ছয় বছরেও শেষ হয়নি ২২ কোটির আইটি প্রকল্পের কাজ নভেম্বরে ১৩ শতাধিক সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয় কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি অবৈধ ছিল: হাইকোর্ট আগে সংস্কার, এরপর নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

পাবনায় পেঁয়াজের বাজার নিম্নমুখী, ক্ষুব্ধ কৃষক-ব্যবসায়ীরা

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ১২.৪২ পিএম
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে
ছবি: সংগ্রহীত

পাবনা সংবাদদাতা॥

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের পেঁয়াজের ভাণ্ডার খ্যাত পাবনায় হঠাৎ করেই দাম নিম্নমুখী হয়েছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের দাম মানভেদে কেজিতে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা আর মণে ১ হাজার টাকার মত দাম কমেছে।

যে পেঁয়াজ গত সপ্তাহে মানভেদে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা মন দরে বিক্রি হয়েছে, সেই পেঁয়াজ বর্তমান বাজারে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।

পাবনা বড় বাজারে পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা মণ। সবচেয়ে ভালো ও বড় আকারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার টাকা মণ দরে। আর ছোট আকারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫০০ টাকা মণ দরে, যা কেজি হিসাবে ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকার মধ্যে রয়েছে।

ব্যবসায়ী ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন বাজারে যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সেটা আগে লাগানো দেশি চারা বা হালি পেঁয়াজ। এখন ভরা মৌসুম বাজারে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ সরবরাহ রয়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার কারণে দেশি পেঁয়াজের দাম পরে গেছে। তবে এখন যে পেঁয়াজ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সেটা খুব বেশিদিন মজুদ করে রাখা যাবে না। মজুদ করে রাখার পেঁয়াজ উঠতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে।

পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখী হওয়ার কারণে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছে। তাই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার দাবি জানান তারা।

পাবনা বড় বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. আলো শেখ বলেন, প্রতিদিন পাইকার দামে পেঁয়াজ কিনে ৫ টাকা লাভে খুচরা বিক্রি করছি। বাজার থেকে অনেকেই পাইকারি দামে পেঁয়াজ কিনে বাইরে ১০ থেকে ২০ টাকা লাভে বিক্রি করছে।

পেঁয়াজ নিয়ে ব্যবসায়ী মো. ইসহাক আলী ও মো. শহীদুল্লাহ বলেন, এখন বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে কেউ কথা বলছে না। যখন দাম বেড়ে যায় তখন সবাই বাজারে আসে জরিমানা করতে। আর এখন দাম কমে গেছে, কারও খোঁজ নাই।

পাবনায় প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজের হাট বসে। বিশেষ করে জেলা সদরসহ সুজানগর, আতাইকুলা, কাশিনাথপুর, দুলাই, চরতারাপুর, চাটমোহর, বেড়া, সাঁথিয়া উপজেলার হাটগুলোয় প্রচুর পরিমাণে দেশি পেঁয়াজের আমদানি হচ্ছে। এই অঞ্চলের দেশি পেঁয়াজ চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ বাজারসহ রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ হয়ে থাকে। এছাড়া উত্তরের জনপদ রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা ও বগুড়া থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা সরাসরি অথবা ফোনের মাধ্যমে পেঁয়াজ কিনছেন।

এবার আবহাওয়াজনিত কারণে ফলন কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। বিগত বছরে একবিঘা জমিতে ৭০ থেকে ৮০ মন পেঁয়াজের ফলন হয়েছে। সেখানে এই বছরে ৪০ থেকে ৫০ মন পেঁয়াজ হবে বলে মনে করছেন তারা। তাই সামনের দিনে পেঁয়াজের বাজার অস্বাভাবিক হতে পারে বলে ধারণা তাদের।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 The Daily Sky
Theme Developed BY ThemesBazar.Com