শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সিরাজগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য হেনরীর সম্পদ ক্রোকের আদেশ আ’লীগ করার সুফল ১৫ বছরে অবৈধ সম্পদের পাহাড়॥ হেনরী ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অবশেষে দুদকের ২ মামলা পরিবারের জিম্মায় মুক্ত হলেন সাংবাদিক মুন্নী সাহা যমুনা রেলওয়ে ব্রীজ: পরীক্ষামুলক ট্রেন চলাচল শুরু সিরাজগঞ্জে বাসচাপায় দুই মোটর সাইকেল আরোহী নিহত সিরাজগঞ্জ পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি ফিলিপস কারাগারে এস আলমের সঙ্গে আর ব্যবসায়ে আগ্রহী নয় ব্যাংকগুলো, বন্ধ হয়ে গেছে তেল-চিনি কারখানা ঠিকাদারের খোঁজ নেই, ছয় বছরেও শেষ হয়নি ২২ কোটির আইটি প্রকল্পের কাজ নভেম্বরে ১৩ শতাধিক সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয় কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি অবৈধ ছিল: হাইকোর্ট

প্রান্তিক কৃষকেরা পাবেন জামানতহীন কৃষিঋণ

  • আপডেট সময় রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৭.৩১ এএম
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

এফবিডি ডেস্ক॥

কৃষি খাতের জন্য নতুন করে গত নভেম্বরে কৃষকদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

 

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে বোরো মৌসুমের আগে জামানত ছাড়াই ৪ শতাংশ সুদে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন দেশের ১ কোটি ৭০ লাখ প্রান্তিক কৃষক।

 

সম্প্রতি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই স্কিম চাল, ডাল, আলু, মৎস্য ও পোলট্রি উৎপাদন বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। সেই সঙ্গে খাদ্য আমদানি ব্যয়ও কমবে।

 

চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট আরও প্রকট হওয়ার শঙ্কায় দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষকদের অর্থায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশের ১ কোটি ৭০ লাখ প্রান্তিক কৃষকের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

 

বোরো মৌসুমের আগেই ধান, শাকসবজি, মাছ, হাঁস-মুরগি পালন, দুধ উৎপাদন, ফল ও ফুল চাষে ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিরা জামানত ছাড়াই ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।

 

এ বিষয়ে কৃষকরা বলেন, আগে এক বিঘা জমি বর্গা নিতে লাগত ৩ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাগে। এভাবে চলতে থাকলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই সরকার ঋণ দিলে আমাদের মতো গরিব মানুষের জন্য অনেক উপকার হবে।

 

তিন মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ঋণের টাকা পরিশোধে ১৮ মাস পর্যন্ত সময় পাবেন চাষিরা। আর ঋণে সুদের হার ধরা হয়েছে মাত্র ৪ শতাংশ।

 

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ স্কিমের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে খাদ্য উৎপাদন বাড়বে। সেই সঙ্গে খাদ্য আমদানি খরচও কমবে। অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, এই স্কিম বেশ কাজে দেবে। সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, এখানে সুদের হার কম এবং ব্যাংকগুলোর উপর তেমন কোনো চাপ সৃষ্টি হবে না। এক্ষেত্রে একটি বড় সম্ভাবনা আছে। এছাড়া বিশ্ববাজার থেকে আমদানি না করেই আমাদের নিজেদের খাদ্য সংকট মোকাবিলার সুযোগ রয়েছে।

 

কৃষকদের কাছে তথ্য পৌঁছে দিতে ব্যাংকগুলোকে ফসল মৌসুম শুরুর আগেই বিশেষ ক্যাম্পেইন চালু করার পাশাপাশি প্রকৃত কৃষক চিহ্নিত করতে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত স্কিমের মেয়াদ ধরা হয়েছে।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 The Daily Sky
Theme Developed BY ThemesBazar.Com