আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রাজধানী তেল আবিব বিক্ষোভ উত্তাল এতে অংশ নিচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
রোববার সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহুকে ‘চুক্তির পথে বাধা’ বলে উল্লেখ করে তাকে ক্ষমতাচ্যুত না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে নেতানিয়াহু জানিয়েছে দিয়েছেন তিনি পদত্যাগ করবেন না।
বিক্ষোভকারীরা এবং নেতানিয়াহুর সমালোচকরা বলছেন যে, গণতন্ত্রের শত্রুরা ইতিমধ্যেই তার সরকারে ঢুকে পড়েছে। এর মধ্যে অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের নেতৃত্বে ধর্মীয় জায়োনিজম পার্টি অন্যতম।
গাজায় হামলা ঘিরে সাধারণ মানুষ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রবল চাপে রয়েছে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক জোট। গাজায় জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সংহতি জানিয়েছে এসব আন্দোলকারী।
তেল আবিবের কাপলান স্ট্রিটে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অবিলম্বে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানানো হয়। সমাবেশের একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে পুলিশ কর্মকর্তারা শহরের কিরিয়া সামরিক সদর দফতরের প্রবেশদ্বার বিগিন গেটে বিক্ষোভকারীদের ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা একটি ব্যানারে লেখা ছিল, কেউ যাবে না! আমরা জেরুজালেমের দিকে যাত্রা করব এবং সেখানেই থাকব, যতক্ষণ না সরকার ভেঙে দেয়া হয়।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক সময় বলেছেন তিনিই একমাত্র তার দেশকে নিরাপদ রাখতে পারেন। অনেক ইসরায়েলি তাকে বিশ্বাসও করেছিলেন।
উল্লেখ্য, পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ৩২ হাজার ৪১৪ ফিলিস্তিনি। আর আহত হয়েছেন ৭৩ হাজার ৯৩৪ জন। ঘরবাড়ি হারিয়ে গাজার বাসিন্দারা প্রায় সবাই উদ্বাস্তু হয়ে গেছে।
এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর এমন আচরণে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। যুদ্ধ বন্ধের বদলে রোববার মিশরের সীমান্তবর্তী রাফা শহরে স্থল অভিযানের হুমকি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। যেখানে হামলার মুখে গাজার অন্যান্য এলাকা থেকে প্রায় ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।