ক্রীড়া ডেস্ক:
সোনালী শিরোপায় চোখ রেখে কাতারে পৌঁছেছে ৩২ দল। উন্মাদনা-উত্তেজনা, আবেগ-আক্ষেপ, শক্তি-সামর্থ্য ছাপিয়ে বিশ্ব মেতে উঠতে চলেছে ফুটবলের জাদুতে। শুরু হতে যাওয়া ফুটবলের মহাযজ্ঞ আয়োজনে কমতি রাখেনি কাতার। কাড়িকাড়ি অর্থ ঢেলে বর্ণিল সব আয়োজনে সাজানো হয়েছে ২২তম আসর।
চ্যাম্পিয়ন খোঁজার লড়াইয়ে কাতারের আটটি স্টেডিয়ামে সামিল হবে। শিরোপার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে নামবে রোনালদো-মেসি-নেইমাররা।
মাসব্যাপী আসরের উদ্বোধনী দিন রোববার (২০ নভেম্বর) রাত ১০টায় ইকুয়েডরের মোকাবেলা করবে স্বাগতিক কাতার। এর আগে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় হবে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ৬০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার আল বায়াত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান চলবে টানা ৪৫ মিনিট।
তেলনির্ভর কাতারের পাঁচটি শহরে ২০ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত লড়বে ৩২টি দল। আসরে নক আউট, কোয়ার্টার, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল মিলিয়ে আয়োজিত হবে ৬৪টি ম্যাচ। আটটি গ্রুপে ভাগ হয়ে একটি শিরোপার লক্ষ্যে লড়বে ৩২ দেশ। ১১ হাজার ৫৮১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দেশটিতে হয়ে যাবে ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক।
বিশ্বকাপের মূলপর্বে এবারই প্রথম খেলছে কাতার। কাতার ফুটবলে বিনিয়োগ করছে অনেক বড় উচ্চাভিলাষ নিয়ে। এটা শুধু একটা-দুটো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার জন্য নয়। শুধু ফুটবল কেনো বিশ্বকাপ আয়োজনে কাতার মুগ্ধতার ডানা ছড়িয়ে দিয়েছে স্বপ্নের আকাশে। বিশাল, বিশাল রাস্তা, ফ্লাইওভার, অট্টালিকা, ছিমছাম পরিবেশ এবং অগ্রগতিতে দেশের মানুষের পাশাপাশি বিদেশী দক্ষ-অভিজ্ঞদের নিয়োগ দিয়ে কাতার এগিয়ে যাচ্ছে দূর্বার গতিতে।
কাড়ি কাড়ি ডলার খরচ করা কাতার নেমেছে হিসেব কষেই। আট স্টেডিয়ামে ফুটবল তারকাদের পায়ের জাদুতে বুঁদ হয়ে থাকবেন সমর্থকরা। ফিফা জানিয়েছে, মোট তিন মিলিয়ন টিকিট বিক্রি করেছে। শুধু টিকিট বিক্রি থেকেই ফিফা রেকর্ড রেভেনিউ পেতে পারে। রাশিয়া বিশ্বকাপে টিকিট বিক্রি থেকে ফিফার আয় ছিল ৫.৪ বিলিয়ন ডলার। এবার সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলেই রিপোর্টে এসেছে। এর পেছনে কারণ, ম্যাচ টিকিটের দাম বৃদ্ধি। ধারণা করা হচ্ছে, এবারের বিশ্বকাপে চোখ রাখবে বিশ্বের প্রায় ৫০০ কোটি মানুষ।
এতশত আয়োজন আর অভিবাসী শ্রমিক, সমকামী ও মদ পানের নানা বিতর্কিত ইস্যু ছাপিয়ে কাতার দেখিয়েছে তারা বিশ্বকাপ আয়োজন সুষ্ঠুভাবেই করেছে। তবুও নানা বিতর্ক আর চাপ নিয়ে আজ মাঠে গড়াচ্ছে ফুটবলের মহাযজ্ঞ। চারবছর পরের এ মিলনমেলা চলবে এক মাস। নতুন কেউ নাকি পুরোনো, মেসি নাকি রোনালদো, কাদের বা কার হাতে উঠতে যাচ্ছে সোনালী ট্রফি? প্রশ্নটা সময়ের কাছেই তোলা থাক।