কাজিপুর সংবাদদাতা॥
প্রথমবারের মতো সরিষা ক্ষেতের আইলে মৌবক্স স্থাপন করে বাড়তি লাভের দেখা পেয়ে খুশি কাজিপুরের মৌচাষীরা। ইতোমধ্যে চাক থেকে প্রথমবার মধু সংগ্রহ করে তা ভালোদামে বিক্রি করে বাড়তি লাভের মুখ দেখেছেন তারা। আর এতে করে আগামীতে কাজিপুরের বিস্তির্ণ চরাঞ্চলসহ উপজেলায় সরিষা চাষিরা বাড়তি পাওনা হিসেবে সরিষাক্ষের পাশে মৌচাষ বাড়তে পারে। এমনটিই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তা ও পরামর্শ মেনে গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে নিজেদের সরিষাক্ষেতের পাশে মৌবক্স স্থাপন করেন কৃষকেরা। শুরুতে মৌচাষে কৃষকদের আগ্রহী করতে প্রচারণা চালায় উপজেলা কৃষি অফিস। পরে প্রথমবারের মতো গান্ধাইল এবং চালিতাডাঙ্গায় ২০টি বক্স স্থাপন করেন চারজন কৃষক।
শনিবার উপজেলার গান্ধাইল ও চালিতাডাঙ্গায় গিয়ে দেখা যায়, মৌবক্সগুলোতে মৌমাছি ঢুকছে আর বের হয়ে সরিষাক্ষেতের দিকে উড়ে যাচ্ছে। সেখানে মৌমাছি সরিয়ে চাক বের করে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। কাজিপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফয়সল আহমেদ ও উপসহকারি কৃষি অফিসার মাহমুদুল হাসান কৃষকদের সাথে মধু সংগ্রহের কাজ করছেন।
গান্ধাইলের মৌচাষী শাজাহান আলী জানান, কৃষি স্যারের কথায় এবার আমি ১৬ টি বাক্স নিছি। আমি ৭০ লিটার মধু পাইছি। আরও পামু। এতে আমি খুব খুশি। অনেকটা শখের কারণেই চারটি বাক্স সরিষাক্ষেতের আইলে স্থাপন করছেন বলে জানান চালিতাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, প্রথমবারেই দশ লিটার একেবারে খাঁটি মধু পাইছি। প্রতিকেজি পাঁচশ থেকে ছয়শ টাকা করে বিক্রি করছি। বাড়তি আয়ে আমি অনেক খুশি। আগামীতে আরও মৌ বাক্স বাড়াবো।
উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের বাড়তি আয় যেমন হবে তেমনি মৌমাছির পরাগায়ণে জমির ফলনও ভালো হবে। একারণে এবার কৃষকদের মৌচাষে উদ্বুদ্ধ করি।এতে তারা সাড়া দিয়ে এখন বাড়তি টাকা পাচ্ছে। এতে করে আগামীতে মৌচাষের পরিধি বাড়বে বলে আশা করছি।