রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মুন্সীগঞ্জ থেকে লুট হওয়া ৩ কোটি টাকা মুল্যের ফার্নেস অয়েল সিরাজগঞ্জে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫ সিরাজগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য হেনরীর সম্পদ ক্রোকের আদেশ আ’লীগ করার সুফল ১৫ বছরে অবৈধ সম্পদের পাহাড়॥ হেনরী ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অবশেষে দুদকের ২ মামলা পরিবারের জিম্মায় মুক্ত হলেন সাংবাদিক মুন্নী সাহা যমুনা রেলওয়ে ব্রীজ: পরীক্ষামুলক ট্রেন চলাচল শুরু সিরাজগঞ্জে বাসচাপায় দুই মোটর সাইকেল আরোহী নিহত সিরাজগঞ্জ পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি ফিলিপস কারাগারে এস আলমের সঙ্গে আর ব্যবসায়ে আগ্রহী নয় ব্যাংকগুলো, বন্ধ হয়ে গেছে তেল-চিনি কারখানা ঠিকাদারের খোঁজ নেই, ছয় বছরেও শেষ হয়নি ২২ কোটির আইটি প্রকল্পের কাজ নভেম্বরে ১৩ শতাধিক সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়

রোজার আগেই খেজুরের দামে চোখ কপালে

  • আপডেট সময় রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৪, ১.৪৮ পিএম
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে
ছবি: সংগ্রহীত

ডেস্ক রিপোর্ট॥

রোজায় ইফতারির অন্যতম একটি উপাদান খেজুর। বছরের অন্য দিনগুলোতে যেমনই থাকুক না কেন রমজান এলে এর চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এসব খেজুর কিনতে গিয়ে নাম আর মান নিয়ে মতভেদ থাকলেও এবার রোজার আগেই দাম শুনে চোখ কপালে উঠছে ক্রেতাদের। বছরের ব্যবধানে সব ধরনের খেজুরের দাম বেড়ে হয়েছে আকাশচুম্বী।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) রংপুরের সিটি বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কমদামি খেজুর হিসেবে পরিচিত জিহাদি ও দাবাস। বর্তমানে প্রতিকেজি দাবাস খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা এবং জিহাদি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। গত বছর এই দাবাস খেজুর বিক্রি হয়েছে ৩২০ টাকা এবং জিহাদি খেজুর ১৪০ টাকায়।

এছাড়া মরিয়ম খেজুর গত বছর বিক্রি হয়েছে ৬০০-৭০০ টাকা। আর এবার দাম উঠেছে ৯০০ টাকা। শুধু জিহাদি, মরিয়ম বা দাবাস নয়, সব খেজুরের দামই বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি আজওয়া খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকা, যা গতবছর ছিল ৭০০ টাকা, বরই খেজুর ৩৫০ টাকা, যা গতবছর ছিল ২৪০-২৮০ টাকা, মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০ টাকা, যা গতবছর ছিল ১০০০ থেকে ১১৫০ টাকা, তিউনিশিয়া ৪৫০ টাকা, যা আগের বছর ছিল ৪০০ টাকা, আম্বারা খেজুর ১২০০ টাকা, যা গতবছর ছিল ৯০০ টাকা। সুপরি জাতের খেজুর ৮০০ টাকা, যা আগের বছর ছিল ৫৫০ টাকা, নাকাল খেজুর ২৮০ টাকা থেকে হয়েছে ৪২০ টাকা এবং কালমি খেজুর ৫৫০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫০ টাকা।

সিটি বাজারের খেজুর বিক্রেতা সুজন বাবু  বলেন, দুই বছর আগের তুলনায় সব ধরনের খেজুরের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। গত বছর যে খেজুর ৩২০ টাকা ছিল এখন তা ৪৩০ টাকা। ৭০০ টাকার খেজুর হয়েছে ১০০০ টাকা। পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হয়। তাই খুচরা বাজারেও দাম বেড়ে যায়।

সিটি বাজারে খেজুরের দাম জিজ্ঞেস করছিলেন কফিল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। এ সময় দোকানি দাম হাঁকতেই যেন চক্ষু চড়কগাছ তার। অবাক হয়ে অন্য দোকানে চলে যান তিনি।

দাম শুনে কী মনে হচ্ছে জানতে চাইলে কফিল উদ্দিন  বলেন, এদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম। তাই ভাবলাম একটু দামটা শুনে যাই। বছর ব্যবধানে যে দাম বেড়েছে তাতে রমজানে খেজুর কেনা হবে কিনা বলতে পারছি না।

কফিল বলেন, যে খেজুর গত বছর ৬০০ টাকা ছিল এখন তার দাম বলা হচ্ছে ৯০০ টাকা। রোজা শুরু হতে এখনও দেড় মাসের মতো বাকি। তার আগেই যে দাম, রোজা শুরু হলে না জানি আরও কত বাড়বে।

দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে টার্মিনাল বাজারের খেজুর বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, খেজুরতো দেশে হয় না। ডলারের দাম বেড়েছে। পরিবহন খরচ বেড়েছে। এখন এক গাড়ি খেজুর আনতে যে টাকা লাগে, এক বছর আগে সে টাকায় তিনগাড়ি খেজুর মিলতো।

এদিকে শুধু খেজুর নয়, দাম বেড়েছে ছোলাবুটেরও। এক মাস আগে যে ছোলাবুটের কেজি বিক্রি হয়েছিল ৭৫-৮০ টাকা এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকায়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 The Daily Sky
Theme Developed BY ThemesBazar.Com