এফবিডি ডেস্ক॥
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাট এক সময়ের সোনালী আঁশ আমাদের দেশের। পাটের চাহিদা কিন্তু কোনো দিন শেষ হবে না। পাটজাত পণ্য পরিবেশ বান্ধব। আমরা পাটের জিনোম আবিস্কার করতে পেরেছি। কাজেই এখান থেকে আমরা অনেক ধরনের পন্য উৎপাদন করতে পারি। পাটের পাতা থেকে শুরু করে আশ, পাটখড়িও কাজে লাগে। পাটকে আমাদের এখন গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের পাট ইন্ডাস্ট্রি যেগুলো সরকারি ছিল সেগুলো আমরা এখন উন্মুক্ত করে দিয়েছি।’
পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়ে রাজধানীর পূর্বাচলে ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর উপকণ্ঠে নতুন শহর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে দ্বিতীয়বারের মতো মাসব্যাপী এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান। এ আসরে পাট ও পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য ২০২৩ হিসেবে ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা।
এবারের বাণিজ্য মেলায় ১০ দেশের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য গতবারের মতো শাটল সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে।
কুড়িল বিশ্বরোড থেকে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা। মেলা চলাকালীন বাসগুলো চলাচল করবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলার গেট খোলা থাকবে।’
এবার মেলার প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়ষ্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়ষ্কদের জন্য ২০ টাকা। মেলার টিকিট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টের সুযোগ থাকছে। মেলায় প্রায় এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাট এক সময়ের সোনালী আঁশ আমাদের দেশের। পাটের চাহিদা কিন্তু কোনো দিন শেষ হবে না। পাটজাত পণ্য পরিবেশ বান্ধব। আমরা পাটের জিনোম আবিস্কার করতে পেরেছি। কাজেই এখান থেকে আমরা অনেক ধরনের পন্য উৎপাদন করতে পারি। পাটের পাতা থেকে শুরু করে আশ, পাটখড়িও কাজে লাগে। পাটকে আমাদের এখন গুরুত্ব দিতে হবে।
‘আমাদের পাট ইন্ডাস্ট্রি যেগুলো সরকারি ছিল সেগুলো আমরা এখন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। যারাই চাইবেন একটা করে ইন্ডাস্ট্রি নিতে পারেন। এখন যেটি আছে সেটিও চালু করতে পারেন আবার সেখানে যে জায়গা আছে সেখানে মডার্ন ইন্ডাস্ট্রি করে বহুমুখী পণ্য উৎপাদন করতে পারবেন। সারা বিশ্বেই পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের বিরাট চাহিদা তৈরি হয়েছে। সেই সুযোগটা নিতে হবে। এ জন্যই এবার বাণিজ্য মেলায় পাটপণ্যকে বর্ষপণ্য ২০২৩ হিসেবে ঘোষণার কথা হয়েছে। আমি পাট ও পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য ২০২৩ হিসেবে ঘোষণা দিচ্ছি।’
করোনা মহামারি কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তবে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি মেলা আয়োজন করা হয়।
ঢাকার প্রাণকেন্দ্র শেরে বাংলা নগর থেকে সরিয়ে প্রথমবারের মতো পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হয় গত বছর। মেলার স্থান পরিবর্তনের কারণে সেই বছর মেলায় যাতায়াতে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ঝামেলা পোহাতে হয়।