শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সিরাজগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য হেনরীর সম্পদ ক্রোকের আদেশ আ’লীগ করার সুফল ১৫ বছরে অবৈধ সম্পদের পাহাড়॥ হেনরী ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অবশেষে দুদকের ২ মামলা পরিবারের জিম্মায় মুক্ত হলেন সাংবাদিক মুন্নী সাহা যমুনা রেলওয়ে ব্রীজ: পরীক্ষামুলক ট্রেন চলাচল শুরু সিরাজগঞ্জে বাসচাপায় দুই মোটর সাইকেল আরোহী নিহত সিরাজগঞ্জ পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি ফিলিপস কারাগারে এস আলমের সঙ্গে আর ব্যবসায়ে আগ্রহী নয় ব্যাংকগুলো, বন্ধ হয়ে গেছে তেল-চিনি কারখানা ঠিকাদারের খোঁজ নেই, ছয় বছরেও শেষ হয়নি ২২ কোটির আইটি প্রকল্পের কাজ নভেম্বরে ১৩ শতাধিক সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয় কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি অবৈধ ছিল: হাইকোর্ট

সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হবে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিলে: শিবলী রুবাইয়াত

  • আপডেট সময় রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮.৩৫ এএম
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

এফবিডি ডেস্ক॥

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষক। একাধিকবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএসইসির চেয়ারম্যান হওয়ার আগে তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা কোম্পানি সাধারণ বিমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।

: ২০২৪ সালে দেশের পুঁজিবাজারকে কী অবস্থায় দেখতে চান?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: আমি যেটা প্রথম বলে শুরু করতে চাই, সেটি হলো- একটি দিনও আমি পাইনি স্বাভাবিক। বিএসইসিতে যোগ দিয়েছি করোনার মধ্যে। দুই বছর ছিল করোনভাইরাস। এউপর যুদ্ধ। সামনে আসছে নির্বাচনের বছর। সব সময়ই থাকলাম একটি ঝামেলার মধ্যে। কখনো সুস্থ সুন্দর পরিবেশ পাইনি। সব সময়ই একটা না একটা বাধা কাজ করেছে।

: এসব বাধা পুঁজিবাজারে কী ধরনের প্রভাব ফেলছে?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: পুঁজিবাজার খুব সংবেদনশীল একটি জায়গা। আমাদের অনেক বড় বড় ইমপ্যাক্টের মধ্য দিয়ে পার হতে হচ্ছে। দৈনিক সমস্যা তো আছেই, এখন বার্ষিক সমস্যা এসেও আমাদের ওপরে পড়ছে। আমরা বিভিন্ন কৌশলে চেষ্টা করছি বাজারটা ধরে রাখতে। বিনিয়োগকারীদের যাতে ক্ষতি না হয় সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।

: এ সময় বিশ্বের অন্যান্য বাজারের সঙ্গে দেশের বাজারকে কীভাবে তুলনা করবেন?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্বের কোনো কোনো দেশের পুঁজিবাজারে বেশি অস্থিরতা দেখা গেছে, কোনো কোনো দেশে কম। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে অস্থিরতা ছিল কম। করোনাভাইরাসের সময় তো আমাদের পুঁজিবাজার সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ভালো করেছে। আর ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে আমাদের পুঁজিবাজার সারা বিশ্বের তুলনায় কম অস্থিরতা দেখিয়েছে। এটা করতে অনেক কৌশল করতে হয়েছে।

: এসব বাধা টপকে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আপনি কতটা আশাবাদী?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: আগামীতে আমরা যা চাচ্ছিলাম তার পুরোটা সম্ভব না হলেও, অনেক কিছু হবে। যেমন আমরা ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড করে দিয়েছি। আমাদের সিসিবিএলে হয়তো ইকুইটি এবং বন্ড পার্টটা হয়ে যাবে। বিশ্বব্যাংকের যে ৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প, সেটা আশা করা যাচ্ছে আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে টেন্ডার হয়ে যাবে। ফান্ড আমরা পেয়ে গেছি। এটার টেন্ডার হয়ে গেলে আমাদের পরিকল্পনা আছে পুরো ক্যাপিটাল মার্কেটকে হাতের মুঠোয় (পামটপ) নিয়ে আসার। আমরা ক্যাপিটাল মার্কেটকে ডিজিটালাইজ করব। সিসিবিএল, সিডিবিএল, ডিএসই, সিএসই, বিএসইসিসহ আরও যেসব সংগঠন আছে এটা এই স্কিমের মধ্যে চলে আসছে। সেই সঙ্গে আরও যেসব লক্ষ্য আমাদের ছিল যেমন- এটিবি মার্কেট চালু করা, সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন চালু করা সেগুলো আমরা করেছি।

: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুর্বল কোম্পানি নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: আমরা বন্ধ কোম্পানিগুলো চালু করছি। যেসব কোম্পানিতে মানুষের টাকা-পয়সা আটকে গেছে, জমিজমা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, মেশিনারিজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ব্যাংকে এনপিএল বেড়ে যাচ্ছে, সেগুলোকে চালু করে আমরা মুক্ত করতে চাচ্ছি। তাতে হয়তো সব খাত বেঁচে যাবে। ব্যাংক এবং অন্যান্য যেসব ঋণদাতা আছে তারা কিছুটা রেহাই পাবে। নতুন একটি কোম্পানি তৈরি না হয়ে যদি পুরোনো কোম্পানিগুলোকে আবার চালু করা যায় তাহলে অনেক কম খরচে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ করা যায়। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে আমাদের একটি বড় উদ্যোগ।

: খারাপ কোম্পানি যদি পুঁজিবাজার থেকে বের হয়ে যেতে চায় কী ব্যবস্থা আছে?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: আমরা এক্সিট পলিসি তৈরি করে দিয়েছি। আমরা ওটিসি কোম্পানিগুলো রিভাইভ করাচ্ছি। বলে দিয়েছি, হয় তোমরা ব্যবসা কর, না হয় বের হয়ে যাও। যা নিয়েছে মানুষের কাছ থেকে সেটা ফেরত দিয়ে চলে যাও। চার-পাঁচটি কোম্পানি আমাদের কাছে দরখাস্ত করেছে বের হয়ে যাওয়ার জন্য।

: আপনার নেতৃত্বে বিএসইসি কান্ট্রি ব্র্যান্ডিংয়ের উদ্যোগ হাতে নিয়েছিল, সেটির কী অবস্থা?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: কান্ট্রি ব্র্যান্ডিং আমরা প্রথম দিন থেকে শুরু করেছি। বিদেশের এয়ারপোর্টে গেলে পাসপোর্ট দেখে আমাদের দিকে কেমন কেমন দৃষ্টিতে তাকায়। সেখান থেকে আমরা বের হয়ে আসতে চাই। আমরা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ, কেরোনাভাইরাসের মধ্যেও যারা ৫ থকে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। সেই দেশের দিকে মানুষ যেন অন্যভাবে না তাকায় সে জন্য কান্ট্রি ব্র্যান্ডিংয়ের কাজটা শুরু করেছিলাম। যুদ্ধের কারণে আবার স্লো হয়ে গেল। আমাদের আশা, আমরা যদি কান্ট্রি ব্র্যান্ডিংটা ঠিকভাবে করতে পারি, তাহলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের কূটনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগগুলো আরও অনেক বাড়বে। তার বহুমুখী প্রভাব পুঁজিবাজারে আসবে।

: আপনার নেয়া সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত কী, যেটি আপনাকে ভালো অনুভূতি দেয়?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: অনেক ভালো সিদ্ধান্ত আছে যেগুলো আমাকে তৃপ্তি দেয়। যেমন প্লেসমেন্ট বাণিজ্যটা বন্ধ করে ফেলেছি। আইপিওতে আগে প্লেসমেন্ট বাণিজ্য হতো। সেটা এখন হয় না। আইপিওতে লটারি পদ্ধতি ছিল। সেটা উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন সব মানুষ শেয়ার পাচ্ছে। তাউপর ধরুন বিভিন্ন ইস্যু ম্যানেজার, অডিটর কাগজপত্রে যে কারসাজি করত সেটা বন্ধ করা হয়েছে। আইপিও রিলেটেড এখন কিন্তু বেশি বদনাম নেই। ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড একটি ভালো কাজ হয়েছে। যেখানে হাজার হাজার কোটি টাকা বিভিন্নভাবে অব্যবহৃত ছিল, সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছিল না, সেই টাকা এখন মার্কেটে সাপোর্ট দিচ্ছে। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মতো মানুষের টাকা ফেরত দিতে পেরেছি।

: দায়িত্ব নেয়ার পর স্বাভাবিক পরিস্থিতি না পাওয়া নিয়ে আপনার মধ্যে কি কোনো হতাশা কাজ করে?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: আমি এখন চার বছরে যে ফল চাচ্ছি, সেটা আসলে ২ বছরে আসত। তখন আমি পরের দুই বছরে অন্য কিছু করতে পারতাম। আমি তো একা মার্কেট চালাই না। এখানে যারা সিসিবিএল, সিডিবিএলের কাজ করছে, এর পরে নাসডাকটাটা ইনফো এরা আসছে কাজ করতে, এরা আসতেই পারে না। হয় করোনাভাইরাস, না হয় যুদ্ধ। এসব কারণে কাজ এগোয়নি। করোনার কারণে মানুষ অফিস করত না। আমরা একা অফিস করতাম। যুদ্ধের সময় এখন বিদেশের লোকদের সঙ্গে কাজ করতে পারছি না। বিদেশের ফান্ড আসা-যাওয়ায় দেরি হয়ে যাচ্ছে। গতি ধীর হয়ে গেছে। আমি যদি এই মেয়াদের পরে না থাকি, যেই জিনিসগুলো এই চার বছরে দিতে পারতাম, সেগুলো হয়তো দিতে পারব না। কারণ সময়মতো শেষ করার যে একটি পরিকল্পনা ছিল সেটা আমার ইচ্ছা থাকার সত্ত্বেও সময়মতো করা সম্ভব হবে না।

: এত কিছুর পরও একটি কথা সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়, সেটি হলো বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা, এ বিষয়টাকে কীভাবে দেখেন?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: আমি এখন আর ব্যাখ্যা করতি পারি না। আমার কাছে কেউ যখন বলে যে আস্থা নেই, তখন আমি বলি যে আস্থার জন্য কী করতে হবে। তিনি আর তখন উত্তর দিতে পারেন না। আমি বলি আমি তো সব কাজ করে ফেলেছি। এখন আর কী করলে আপনাদের আস্থা আসবে বলুন। এটার উত্তর কেউ দিতে পারেন না। বাজারে টাকা বিনিয়োগ করতে বলে। শেয়ারের দাম বাড়ানো-কমানোর পরামর্শ দেয়। সেকেন্ডারি মার্কেট নিয়ে সবাই কথা বলে। সেকেন্ডারি মার্কেটই তো কেবল পুঁজিবাজার না। প্রাইমারি মার্কেট আছে, বন্ড মার্কেট আছে। অন্য কত মার্কেট আছে। সেগুলো নিয়ে কথা বলতে কেউ আসে না। সবাই আস্থা বলতে বোঝে, পুঁজিবাজারে সব সময় সূচক বাড়তে থাকবে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আস্থার সংজ্ঞাটা কী? আমরা আর কী করলে আস্থা আসবে সেটা বলুক।

: বাজারে কারসাজি বন্ধে আপনার পদক্ষেপকে যথেষ্ট মনে করেন না বিশেষজ্ঞদের অনেকে।

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: এর উল্টো মতও আসছে। বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা দেখবেন যে, আমরা নাকি অতিরিক্ত ফাইন করছি। এ জন্য নাকি সবাই চলে যাচ্ছে। ফাইনের কারণে যারা ভালো বিনিয়োগকারী তারা ভয় পেয়ে চলে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বলা হচ্ছে। এ রকমভাবে ফাইন করলে এই জায়গায় আর কেউ থাকবে না। এটা এখন আমাদের দোষ। আমরা কোন দিকে যাব। বিষয়গুলো আমাদের একার উপর না। এটার প্রাথমিক রেগুলেটর ডিএসই, সিএসই। তারা যে ফাইল আমাদের কাছে পাঠায়। আমরা সেটা নিয়ে কাজ করি। সুতরাং এই জরিমানার বিষয় আমাদের হাতে না। আর যেটা বলা হয় কম জরিমানা। এখানে সবাই হয়তো দেখে তার রিয়েলাইজ গেইন আর আন রিয়েলাইজ গেইন। অনেকে বলে যে দুটো যোগ করে কেন ফাইন করা হয় না। অনেক সময় বাজার ভালো থাকে অনেক সময় বাজার খারাপ থাকে। আমরা আন রিয়েলাইজ ধরি না এই কারণে যে, দেখা গেছে যে সময় ফাইন করা হয়েছে, ততদিনে তার আন রিয়েলাইজ গেইনের টাকা নাই হয়ে গেছে। যেটা রিয়েলাইজ ছিল সেটাও নাই হয়ে গেছে। আমরা তাউপরও জরিমানা করছি।

: কাজ করতে গিয়ে বাইরের কোনো চাপ অনুভব করেন?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: এটা আসলে ব্যালান্স করতে হয়। বইয়ে যেভাবে পড়ে আসে মানুষ, সেটা এখানে হয় না। আমি একজন অপরাধীকে যখন ধরতে পারি, আমি যদি দেখি তার অপরাধ করার প্রবণতাটা বন্ধ হয়ে গেছে, তখন তাকে সুযোগ দিচ্ছি। যদি দেখি ভালো হয়নি, হবেও না, তাদের সঙ্গে কঠোর হচ্ছি। এখানে বাস্তবতা একদম আলাদা। আপনারা দূর থেকে যেটা দেখেন আসল চিত্র তা না। এটার ভেতরে অনেক স্টোরি থাকে। অনেক সুবিধা-অসুবিধা থাকে। এখানে মানুষকে টার্গেট করেও বিপদে ফেলা হয়। তাদের বাঁচাতে গিয়ে আমাদের অনেক কিছু করতে হয়।

: আপনার কি কখনো মনে হয় কাজ করতে গিয়ে আপনাকেও টার্গেট হতে হচ্ছে?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: সেটা হচ্ছে, হবেই। অনেক পত্রিকার সঙ্গে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় জড়িত। পত্রিকা, টেলিভিশন তারা এগুলোকে ব্যবহার করে।

: এ ব্যাপারে পাঠক বা বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে কিছু বলার আছে আপনার?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: তাদের বলব, যারা সরকারের কোনো বড় দায়িত্বে থাকে, তাদের বিভিন্ন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেই সিদ্ধান্তগুলো কারও পক্ষে যায়, কারও বিপক্ষেও যায়। বিপক্ষ শক্তি সব সময় প্রতিশোধপ্রবণ হয়। অনেক সময় মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অনেকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়। তাই সব সংবাদ বিশ্বাস না করে সত্য-মিথ্যা যাচাই করে তাউপর যেন মানুষ তা গ্রহণ করে। সাংবাদিক ভাইদের কাছে আমার অনুরোধ, আমাদের কাজ-কর্মে যদি কোনো ভুল-ত্রুটি থাকে সেটা তুলে ধরলে আমরা খুব খুশি হবো। নিজেদের কারেকশন করতে পারব। কিন্তু কারও ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের উদ্দেশ্য যদি থাকে সেটা সুস্থ সাংবাদিকতা না।

: এখন যে ফ্লোর প্রাইস আছে সেটাতে একটি ডেড লকের মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে বাজারে। এখান থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা কী?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: এই মুহূর্তে বিনিয়োগকারীর সুরক্ষা আমার প্রথম লক্ষ্য। আমি যদি ফ্লোর প্রাইস এখন তুলে দেই আর বাজারে যদি বড় মূল্য সংশোধন হয়, ফোর্স সেল শুরু হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাবে। আমার আগে এটা ঠেকাতে হবে। আমার এখন লেনদেন কম হচ্ছে। এই যুদ্ধকালে লেনদেন একটু কম হোক। ব্যাংকিং খাতে তো অনেক এলোমলো হয়ে যাচ্ছে যুদ্ধের কারণে। সেখানে কিন্তু কেউ কিছু বলে না। ব্রোকারেজ হাউসে লেনদেন কম হওয়ায় লোকসান হচ্ছে। সেটা তো ব্যবসা বেড়ে গেলে কভার হয়ে যাবে দুদিন পরে। কিন্তু সাধারণ বিনিয়োগকারীর যে ক্ষতি হবে সেটা কভার করা যাবে না।

 

 

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 The Daily Sky
Theme Developed BY ThemesBazar.Com