স্টাফ রিপোর্টার॥
৩৪ তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে সিরাজগঞ্জে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ০১ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহিদ এ কে শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, প্রবীণ হিতৈষী সংঘও নিবন্ধীত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, সিরাজগঞ্জের আয়োজনে এই আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সিরাজগঞ্জের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান খাঁন, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) গনপতি রায়।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম, প্রবীণ হিতৈষী সংঘ, সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মো. আরশাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শহর সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন, এসময় প্রবীণ হিতৈষী সংঘের অন্যন্য কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ প্রবীণেরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক গনপতিরায় বলেন, প্রবীণদের অবহেলা না করে তাদের সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিত করতে হবে । বিশ্ব প্রবীণ দিবস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্তের আলোকে সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও ১৯৯১ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। দেশে দেড় কোটির মতো প্রবীণ আছে। ২০২৫ সালে এদের সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। ২০৫০ সালে এদের সংখ্যা সাড়ে ৪ কোটি হয়ে যাবে। ভ্যতার অগ্রযাত্রায়ও প্রবীণদের অবদান অনস্বীকার্য। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎকর্ষ ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের পথক্রমে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও প্রবীণের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রবীণ জনগোষ্ঠীর যথাযথ কল্যাণ নিশ্চিতে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং তারা যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধা ও প্রযুক্তিগত সাম্যতা অর্জন করতে পারেন, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সচেষ্ট হতে হবে। আমি আজকের এই দিবস আয়োজন করেছেন তাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।