নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারই দূর্ঘটনার কারণ
স্টাফ রিপোর্টার॥
সিরাজগঞ্জের ইকোনমিক জোনে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজের তিনটি গার্ডার ধ্বসের ঘটনায় এক শ্রমিক নিহত হয়েছে। অপর দুই শ্রমিককে আহত অবস্থায় সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নির্মাণাধীন ব্রিজটির ৩টি গার্ডার ধসে পড়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ রয়েছে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার কারণেই এই দূর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও ইকোনোমিক জোনের কর্মকর্তারা কেউই মুখ খুলছেন না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বলছেন, দ্রুত তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ জানায়, গার্ডার ধ্বসের সময় ওই স্থানে ৩ শ্রমিক কাজ করছিলেন। ঐ সময় আকস্মিকভাবে গার্ডার ধসে পরলে গার্ডারের নিচে দুইজন আটকা পড়ে এবং অপর একজন গুরুতর আহত হয়। এরমধ্যে আহত দুইজন কে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে অপর একজন নিহত শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়।
সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আব্দুল মান্নান জানান, মো. হাফিজুল ইসলাম (২৪), জহুরুল ইসলাম (৬০) ও জুবায়ের (২২) নামে তিন শ্রমিক ওই ব্রিজে কাজ করছিলেন। নিহত ব্যক্তি সিরাজগঞ্জ সদরের মিরপুর মহল্লার মাহমুদ আলীর ছেলে জুবায়ের।
সেই গার্ডারেই কাজ করা অবস্থায় অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া শ্রমিক হাফিজুল ইসলাম বলেন, “আমরা দুই গার্ডারের মাঝখানে ক্রস গার্ডারের কাজ করছিলাম। হঠাৎ গার্ডারগুলো ভেঙে পড়ে। এ সময় আমি দৌড়ে সরে গেলেও বাকি দুইজন সরতে পারেনি। পরে পাশে কাজ করা আরো কয়েকজন শ্রমিক এগিয়ে এসে জহুরুলসহ আমাকে হাসপাতালে পাঠায়।”
সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাসিবুল্লাহ বলেন, “খবর পাওয়ার পরেই সেখানে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছিল। এরপর আমি নিজেই ঘটনাস্থলে এসেছি। আইনশৃঙ্খলার যেন অবনতি না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।”
ঘটনাস্থল থেকে সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মান্নান আরও বলেন, “খবর পাওয়ার পরেই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে। আমরা জানতে পেরেছি ওখানে তিনজন শ্রমিক কাজ করছিলেন।”