শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম

সিরাজগঞ্জে বিপদসীমা অতিক্রম করল যমুনার পানি॥ বাড়ছে ভাঙ্গন, বন্যা কবলিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪, ২.৩৭ পিএম
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত। ছবি: আশরাফুল ইসলাম জয়

আশরাফুল ইসলাম জয়॥
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে সিরাজগঞ্জ সদর, চৌহালী, শাহজাদপুরের বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
যমুনা নদীর পানি অব্যহতভাবে বাড়তে থাকায় সিরাজগঞ্জে নদী ভাঙ্গনের পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে সিরাজগঞ্জের কাওয়াকোল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান (জিয়া মুন্সি) দ্য ডেইলী স্কাই কে বলেন, “নদীভাঙনে জেলার মানচিত্র থেকে মুছে যেতে বসেছে কাওয়াকোলা ইউনিয়ন। ভাঙনরোধে পাউবো উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।”
কাওয়াকোলা ইউনিয়নের হাটবয়ড়া, দৌগাছী, বড়কয়রা, ছোটকয়রা, কৈগাড়ী দড়তা, চন্ডল বয়ড়া এবং বেড়াবাড়ী গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। অনেক গ্রাম ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। চলতি বছর এ পর্যন্ত ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে চলে গেছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি সূত্র। ভাঙনের কারণে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নিলামে বিক্রি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, সহায়সম্বল হারিয়ে বহু পরিবারের মানুষ এখন নিঃস্ব। এ ছাড়া দুটি মুজিব কেল্লা, সাড়ে ৪ কিলোমিটার পাকা রাস্তা, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে রয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এগুলোও বিলীন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এদিকে শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর, পাচিল, হাট পাচিল ও সৈয়দপুর গ্রামেও নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বিকেলে পাচিল গ্রামের কোবাদ মাস্টারের দোতলা ভবন নদীগর্ভে ধসে পড়েছে। এ ছাড়া বহু ঘরবাড়ি নদীতে ভেঙে পড়েছে।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম দ্য ডেইলী স্কাই কে বলেন, “যমুনা নদী ভাঙছে। নদী ভাঙনের কারণে যেকোনো মুহূর্তে বয়কয়রা কমিউনিটি ক্লিনিক নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এ কারণে কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নিলাম বিক্রির কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান দ্য ডেইলী স্কাই কে বলেন, “ভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকা চিহ্নিত করে জিওটিউব এবং বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে।”
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ভাঙ্গন ও বন্যা কবলিতদের সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সঠিকভাবে দায়িত্বপালনের নির্দেশ প্রদাণ করেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 The Daily Sky
Theme Developed BY ThemesBazar.Com