ভূয়া সনদধারী চিহ্নিত করার কাজ চলছে
তবে এদের বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তা তদন্ত করে দেখা হবে।
স্টাফ রিপোর্টার॥
সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৬৬৮ জন শিক্ষক ও চারজন অফিস সহকারী পদে চাকরি করছেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তবে এসব শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ভূয়া সনদধারী কয়জন তা এখনও নির্ণয় করা সম্ভবপর না হলেও সনদ যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আগস্টের শেষের দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) লুৎফর রহমান সই করা এক চিঠিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের তালিকা চাওয়া হয়। অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. বিলকিস বেগম সই করা আরেকটি পত্রে চাওয়া হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর তালিকা। চিঠি পাওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাওয়া শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা দিতে জেলার ৯টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়।
শিক্ষা কর্মকর্তা আরও জানান, এসব নিয়োগের তালিকা ইতোমধ্যেই অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তবে এদের বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তা তদন্ত করে দেখা হবে।
নিয়োগে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে কেউ কোঠার অপব্যবহার করে থাকলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।