এফবিডি ডেস্ক॥
আন্তর্জাতিক বাজারে গতকাল সোমবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ১১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে করোনা বিধিনিষেধ বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। এতে বিশ্বে পণ্যটির সবচেয়ে বড় তেল আমদানিকারক দেশটির ক্রেতাদের চাহিদা ও উদ্বেগের প্রভাব পড়েছে তেলের দামে। সোমবার বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ বা ৩ দশমিক ১ শতাংশ কমে বিক্রি হয় ৮০ ডলার ৯৭ সেন্টে। এর আগে লেনদেনের একপর্যায়ে প্রতি ব্যারেলের দাম নেমেছিল ৮০ ডলার ৬১ সেন্টে, যা গত ৪ জানুয়ারির পর সবচেয়ে কম।
ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম ৩ দশমিক ১ শতাংশ বা ২ ডলার ৩৯ সেন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৭৩ ডলার ৮৯ সেন্ট। আগের সেশনে ব্যারেলপ্রতি দাম ছিল ৭৩ ডলার ৬০ সেন্ট, যা ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বরের পর সর্বনিম্ন। গত সপ্তাহে ব্রেন্টের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৬ এবং ডব্লিউটিআইয়ের ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। নিসান সিকিউরিটিজের গবেষণা মহাব্যবস্থাপক হিরোইউকি কিকুকাওয়া বলেছেন, চীনে করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির সঙ্গে সাংহাইতে বিধিনিষেধ বিরোধী বিক্ষোভের প্রভাব পড়েছে তেলের বাজারে।
তিনি আরও বলেন, ডব্লিউটিআইয়ের দাম ৭০ থেকে ৭৫ ডলারে নামতে পারে। তবে অর্গানাইজেশন অব পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) ও এর সহযোগীদের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠকের ফলাফল ও রাশিয়ার তেলের ওপর জি-৭ এর মূল্য নির্ধারণের ওপর নির্ভর করে বাজার অস্থির থাকতে পারে। ওপেক এবং রাশিয়াসহ তার সহযোগীরা ওপেক প্লাস নামে পরিচিত। আগামী ৪ ডিসেম্বর ওপেক প্লাসের বৈঠক হবে। গত অক্টোবরে ওপেক প্লাস ২০২৩ সাল পর্যন্ত উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল কমাতে সম্মত হয়। জি-৭ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৫ থেকে ৭০ ডলারে রাখা নিয়েও কথা বলছে। রুশ তেলের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার পর নতুন মূল্য ৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।