রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন

১৭১৭ পুলিশ চিহ্নিত

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১.২৮ পিএম
  • ৯ বার পড়া হয়েছে
Collected

টিডিএস ডেস্ক



জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে নজিরবিহীন তা-ব চালিয়েছে পুলিশ। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সাধারণ ছাত্র ও নিরীহ লোকজনকে। যেসব পুলিশ সদস্য গুলি চালানো, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও ক্ল্যাশ গ্রেনেড ছুড়েছেন তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এ সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১৭১৭।
পাশাপাশি নির্দেশদাতা হিসেবে ১১০ জন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সারা দেশে ৫৭ হাজার ৬১৩ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের গুলি ব্যবহার করা হয়েছে। পুলিশের একটি সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, আন্দোলনকারীদের রুখতে মাঠে ১৪৭৯টি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়েছে। এছাড়া ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ১৪ হাজার ২২৩ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এই আন্দোলনেই পুলিশ প্রথমবারের মতো ক্ল্যাশ গ্রেনেড (ভিড় ও দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের অস্ত্র) ব্যবহার করেছে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এই গ্রেনেডটি ব্যবহার করা হয়েছে ২৭৪টি।
সূত্রমতে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বেশি সহিংসতা হয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও রাজশাহীতে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেশি বেপরোয়া ছিল ঢাকা মহানগর ও আশপাশের এলাকায়। এসব এলাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি।
জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘নিরপরাধ ছাত্র-জনতাকে অপেশাদার পুলিশ কর্মকর্তা ও অন্য সদস্যরা মিলে হত্যা করেছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে।’
আইজিপি জানান, জড়িত ওইসব পুলিশ কর্মকর্তা ও অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা হয়েছে। মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা পলাতক আছেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবেই।

ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘গত সরকারের সময় পুলিশের এসব কর্মকা- নিয়ে প্রায়ই প্রতিবাদ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছি। এখন সময় এসেছে পুলিশকে ঢেলে সাজানোর। এমন পুলিশ আমরা চাই, যারা হবে জনগণের পুলিশ। আশা করি, বর্তমান সরকার তা করতে পারবে।’
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রূপ নেয়।
৫ আগস্ট প্রবল আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সরকারের অনেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্য ও দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও পালিয়ে যান। দেশ ছেড়ে পালান পুলিশের ঊর্ধ্বতন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। যারা দেশে ছিলেন তাদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও নিরীহ লোকজন, পুলিশ, আনসারসহ ৭৩৫ জন (স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী) প্র্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্ব বরণ করেছেন অনেকেই। গুরুতর আহত কয়েকজন চিকিৎসা নিচ্ছেন বিদেশে।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে ব্যবহার করেছে। সর্বশেষ আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি করারও নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তাদের নির্দেশে পুলিশ নানা অপকর্মও করেছে।’
তিনি বলেন, আন্দোলনের সময় পুলিশ প্রবিধান মানা হয়নি। যারা অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের ঘটনায় সম্পৃক্ত, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তাছাড়া পুলিশকে রাজনৈতিক কাজে যারা ব্যবহার করেছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত।
হদিস মিলছে না ১৮৭ পুলিশ সদস্যের : পুলিশের হিসাবে ১৮৭ পুলিশ সদস্য এখনো কর্মস্থলে অনুপস্থিত বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। এ ছাড়া প্রায় ২০ জনকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে কয়েকদফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে। ওই খবর অনুযায়ী, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে পুলিশের বেপরোয়া বলপ্রয়োগের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। রিমান্ডে থাকা অন্য পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরাও জিজ্ঞাসাবাদে বলপ্রয়োগ, কার নির্দেশে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে সেসব তথ্য দিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে। অন্তর্র্বতী সরকার গঠনের পর আন্দোলনে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। পুলিশ সদর দপ্তর ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলপ্রয়োগে জড়িত পুলিশের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রাথমিকভাবে ওইসব কর্মকর্তা ও সদস্যদের চিহ্নিত করেছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
কোনো নিয়মই মানেননি পুলিশ : ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ প্রবিধানের ১৫৩ ধারায় বলা আছে তিন ক্ষেত্রে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে ব্যক্তির আত্মরক্ষা ও সম্পদ রক্ষার অধিকার প্রয়োগ, বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করা ও গ্রেপ্তার কার্যকর করার জন্য। তাছাড়া দণ্ডবিধির ১০২ ধারায় বলা হয়েছে যখনই ক্ষতির আশঙ্কা শেষ হবে, তখন আত্মরক্ষার জন্য শক্তিপ্রয়োগের অধিকারও শেষ হবে। কিন্তু আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও নিরীহ লোকজনের ওপর গুলিবর্ষণের ক্ষেত্রে এসব ধারা মানেননি পুলিশ সদস্যরা। আর এ কারণে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে বেশি।
ডিএমপির কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর পুলিশ সদর দপ্তরের পিআইএমএস (কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত তথ্যভা-ার) হ্যাক হয়েছিল। সেখানে কর্মকর্তাদের বাসা-বাড়ির ঠিকানা ও ব্যক্তিগত তথ্য ছিল। ঢাকায় বসবাস করা ওই কর্মকর্তাদের কারও কারও বাসায় ছোটখাটো হামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অনুপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা আর কর্মস্থলে ফিরবেন না বলে মনে হচ্ছে। তাদের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ নিচ্ছি। তাদের আইনের আওতায় আনারও চেষ্টা চলছে। অনুপস্থিত বেশিরভাগ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যামামলা হয়েছে।’
মাঠে অ্যাকশনে থাকা কর্মকর্তা ও সদস্যরা চিহ্নিত : পুলিশ সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশের সব ইউনিট আলাদাভাবে পুলিশের কর্মকান্ড নিয়ে তদন্ত করেছে। আন্দোলনের সময় পুলিশ কী ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, কত সংখ্যক গুলি, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করেছে সে তথ্য বের করেছে। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে পুলিশের কোন কোন সদস্য অ্যাকশনে ছিল তাদের প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কারা নির্দেশ দিয়েছেন তাদের বিষয়েও তথ্য উদঘাটন করেছে। ১৭১৭ জন পুলিশ সদস্য অস্বাভাবিক বলপ্রয়োগে জড়িত থাকার তথ্য অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ, টিভি চ্যানেল ও পত্রপত্রিকায় আসা ছবি দেখে তাদের মধ্যে অনেককে চিহ্নিত করা হয়েছে। আবার ইউনিটের দায়িত্ব পালনের সূচি থেকেও মাঠ পর্যায়ে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের নাম জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনায় সম্পৃক্তদের মধ্যে অতিরিক্ত কমিশনার, উপকমিশনার, সহকারী কমিশনার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), পরিদর্শক, উপপরিদর্শক, সহকারী উপপরিদর্শক ও কনস্টেবলরা আছেন।
ঢাকায় প্রথম ক্ল্যাশ গ্রেনেড ব্যবহার : পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ১৮ জুলাই সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ডাকে। ওই দিন আন্দোলন নস্যাৎ করতে বেপরোয়া ছিল পুলিশ। তারা বিপুল পরিমাণ গুলি, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। ঢাকায় তান্ডব চালানো হয় সবচেয়ে বেশি। এরপর চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও বরিশালে বেশি ঘটে। তবে যশোর ও গোপালগঞ্জে পুলিশ এক রাউন্ডও গুলি বা টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেনি। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আন্দোলনের সময় ঢাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি ব্যবহারের যে হিসাব পাওয়া গেছে সেটা আরও বেশি হতে পারে। এসব হিসাব চূড়ান্ত করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি ব্যবহার : অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামে বেশি বলপ্রয়োগ করে পুলিশ। ঢাকার বেশিরভাগ থানা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরেও প্রায় একই অবস্থায় ছিল। ওইসব এলাকায় প্রাণঘাতী গুলি, রাবার বুলেটসহ ২৬ হাজার ২৩টি গুলি ছোড়া হয়। এর মধ্যে শটগানের সিসার কার্তুজ ১২ হাজার ৩৪০টি, চীনের সেভেন পয়েন্ট সিক্স-টু এমএম, এসএমজি, টরাস নাইন এমএম ও অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি ৪ হাজার ৩১৬টি, পিস্তলের গুলি ২৫৬টি, ৮ হাজার ৯৯৪টি রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, বিভিন্ন ধরনের কার্তুজ ব্যবহার করা হয়েছে। দেশের অন্য জেলাগুলোতে বাকি গুলি, রাবার বুলেট, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করার ক্ষেত্রে শটগান, পিস্তল ও চাইনিজ রাইফল ব্যবহার বেশি হয়েছে। কোথাও কোথাও এসএমজি (সাব-মেশিনগান) ও এলএমজির (লাইট মেশিনগান) মতো অস্ত্রও ব্যবহৃত হয়েছে।
১১০ নির্দেশদাতা চিহ্নিত : পুলিশ সূত্র জানায়, আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতাকে দমাতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা ও অন্য সদস্যদের যেসব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নির্দেশ দিয়েছিলেন তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের হয়রানি, সমন্বয়কদের হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনসহ নির্বিচারে গুলি করে শত শত ছাত্র-জনতা হত্যার নির্দেশদাতা বিতর্কিত ওইসব কর্মকর্তাদের অনেকে লাপাত্তা। তাদের অবস্থান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা ধরনের কথাবার্তা, ছবি পাওয়া যায়।

নির্দেশদাতা কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিশেষ শাখার (এসবি) সাবেক প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সিআইডির (পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মো. আব্দুল বাতেন, কৃষ্ণপদ রায়, খন্দকার লুৎফুল কবির ও মীর রেজাউল আলম, ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার, ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র, মো. আসাদুজ্জামান, মো. মনিরুজ্জামান, মো. মোজাম্মেল হক, সরদার রকিবুল ইসলাম ও মো. ইমাম হোসেন, অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফিসহ অনেকের নাম আছে।
কোনো গুলি টিয়ারশেল ছোড়া হয়নি দুই জেলায় : যশোর ও গোপালগঞ্জের দুই কর্মকর্তা (আন্দোলনের সময় তারা কর্মরত ছিলেন) বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় এক রাউন্ডও গুলিও ছোড়া হয়নি ওই দুই জেলায়। কারণ গোপালগঞ্জে কোনো আন্দোলন হয়নি। তবে যশোরে আন্দোলন হলেও পুলিশ কোনো অ্যাকশনে যায়নি। শান্তিপূর্ণভাবে ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে। পুলিশ কেন অ্যাকশনে যায়নি এ জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের বকাঝকাও করেছেন বলে দাবি করেন তারা। সূত্র: দেশ রূপান্তর

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 The Daily Sky
Theme Developed BY ThemesBazar.Com