ডেস্ক রিপোর্ট॥
আরও ২৭ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য ১২টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিতে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সিদ্ধ চাল ১২ হাজার টন এবং আতপ চাল ১৫ হাজার টন।
খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে এ সংক্রান্ত দুটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে।
নতুন শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ ছিল গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। এ শুল্ক ছাড়ের অনুমোদন পেতে আমদানিকারককে খাদ্য মন্ত্রণালয় অনুমতি নেওয়ার শর্ত জুড়ে দেয় এনবিআর।
আমদানির শর্তে বলা হয়, বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদেরকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে, আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু বা জারি করা যাবে না, আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেটজাত করা যাবে না এবং আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রয় করতে হবে।
চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২৩ জুন চালের আমদানি শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রকমূলক শুল্ক ২৫ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে চাল আমদানিতে মোট করভার ৬২ শতাংশ থেকে কমে ২৫ শতাংশে নামে।
পরে ২৮ আগস্ট চাল আমদানির ক্ষেত্রে আরও ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমায় সরকার। এখন চাল আমদানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশের কিছু বেশি আমদানি শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। আমদানিকারকরা ৫ শতাংশ অগ্রিম কর ও ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়করসহ মাত্র ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রক শুল্ক পরিশোধে চাল আনতে পারছেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে এখন আমদানিকারকরা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুল্ক পরিশোধ করে চাল আমদানি করতে পারবেন।