সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দারিদ্র বিমোচনে যে পথে হেঁটেছিল, বর্তমানে তা কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেছে। পিকেএসএফকে সেই অভাব পূরন করতে পরিকল্পনা নিতে হবে। রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন অব বাংলাদেশ-কেআইবিতে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন-পিকেএসএফ দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শনের সঙ্গে পিকেএসএফের দর্শন একই। তা হলো: মানুষের অভাব দূর করা, দরিদ্র বিমোচন করা। সেজন্য প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি বৈষম্য কমাতে জোর দিতে হবে।’
এ সময় করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত আর্থিক প্রনোদনার ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘প্রনোদনার টাকা বড়রা খেয়ে ফেলেছে, ছোটদেরটাও খেয়ে ফেলার চেষ্টা করেছে। তাই ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারিদের জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখতে হবে। যেন বড় উদ্যোক্তারা খেয়ে ফেলতে না পারে।’
পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলিফুজ্জামান আহমদ বলেন, শুধু ক্ষুদ্র অর্থায়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসন সম্ভব নয়, প্রয়োজন মতো অর্থ দরকার, সমন্বিত উন্নয়নের বিকল্প নেই। পিছিয়ে থাকা মানুষের জীবনমান উন্নয়নে আমাদের নজর দিতে হবে। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন সে কাজটিই করছে। পিকেএসএফ ১ কোটি ৭০ লাখ পরিবারকে জীবনচক্রের প্রত্যেকটা ধাপে মানুষের সব প্রয়োজন মিটাতে কাজ করছে বলেও তিনি জানান। সেই সঙ্গে তিনি টেকসই উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করার আহবান জানান।
পিকেএসএফের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম সাঈদুজ্জামান বলেন, দরিদ্র বিমোচনে পিকেএসএফের ভূমিকা প্রশংসনীয়। প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বদিউর রহমান বলেন, মানুষকে যদি সেবা দিতে হয় তাহলে বর্তমান নীতি পরিবর্তন করতে হবে। গবেষণা করে নতুন মডেল শুরু করতে হবে। না হলে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করা যাবে না বা গরীব দু:খী মানুষের উন্নয়ন হবে না।
‘সাম্যের সাথে উন্নয়নের পথে’ এ স্লোগানে ৩২ বছর পূর্তি উদযাপন করছে পিকেএসএফ। এবারই প্রথমবারের মতো পিকেএসএফ দিবস আয়োজন করলো প্রতিষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের নতুন ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি। তবে এক ভিডিও বার্তায় তিনি সংস্থাটির সাফল্য তুলে ধরেন। এছাড়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।