এফবিডি ডেস্ক॥
পুঁজিবাজারের শেয়ারের কেনাবেচা অনেক কমে গেছে। মূলত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা) আটকে থাকায় ক্রেতার অভাবে বিক্রি করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। ফলে লেনদেনের পরিমাণও কমে যাচ্ছে।
গতকাল সোমবার লেনদেনে অংশগ্রহণ করা ২৮৯টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। ২০৬টি দর অপরিবর্তিত রয়েছে। কমেছে ৭৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সপ্তাহের শুরুতে রোববার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গতকাল আবার দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দুই বাজারেই দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠান। অবশ্য দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ কালবেলাকে বলেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ নিয়ে কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বর্তমানে ফ্লোর প্রাইস বাজারের প্রধান বাধা। এই ব্যবস্থা থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত বাজার স্বাভাবিক হবে না। কারণ ফ্লোর প্রাইস ব্যবস্থা কোথাও নেই। এখন দাম বাড়ার মধ্যে ১০টি এসেছে। হয়তো কয়েক দিনের মধ্যে এদেরও লেনদেন হবে না। বাজারকে বাজারের মতো চলতে দিতে হবে। তিনি বলেন, কোম্পানি স্বাভাবিক কার্যক্রম হচ্ছে না। যাদের কাছে শেয়ার আছে, তারা বিক্রি করতে পারছে না। নতুন করে কিনতে পারছে না। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন দরকার।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৫৪ পয়েন্টে, ডিএস৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে মোট ৪১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৩৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
এদিকে, অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭২ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৩২৯ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স ৪৩ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৯৮১ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ২৩০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে ১১৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২ টির, কমেছে ৪৫ টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৭ টির। দিন শেষে সিএসইতে ৭ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
যে ১০ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে সেগুলো হলো : জুট স্পিনার্স, মুন্নু এগ্রো অ্যান্ড জেনারেল মেশিনারি লিমিটেড, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, কে অ্যান্ড কিউ (বাংলাদেশ) লিমিটেড, সোনালি পেপার, সোনালি আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ, পূবালী ব্যাংক, যমুনা অয়েল কোম্পানি, বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিকস, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি।