এফবিডি ডেস্ক॥
বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি অক্টোবরেও কমেছে। এ সময় ঋণ প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। অর্থাৎ, প্রবৃদ্ধির হার কমেছে দশমিক ২ শতাংশীয় পয়েন্ট। মুদ্রা সরবরাহ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো সুদহার বাড়ানোর পর থেকেই এ খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমছে।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ প্রবাহের তথ্য থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের অক্টোবরে বেসরকারি খাতে ঋণের স্থিতি ছিল ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর শেষে যা ছিল ১৩ লাখ ৭৯ হাজার কোটি টাকার সামান্য বেশি।
অক্টোবরে আমদানি-পরবর্তী অর্থায়ন ও মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কমলেও ঋণপ্রবাহ খুব বেশি কমেনি। ফলে এ সময় বেসরকারি পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের ঋণ নেওয়ার প্রবণতাও কমেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, অক্টোবরে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহে প্রবৃদ্ধির হার আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। অর্থাৎ, ২০২১ সালের অক্টোবরের তুলনায় চলতি বছরেরে একই সময় বেসরকারি ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা ব্যাংক খাত থেকে ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি ঋণ নিয়েছেন। বেসরকারি খাতে ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী জুন পর্যন্ত এ খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করেছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। আগের মুদ্রানীতিতে যা ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ ছিল। মূলত সাম্প্রতিক সময়ের ঋণ বৃদ্ধির প্রবণতা বিশ্লেষণ করে প্রাক্কলন কমানো হয়। প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিনিয়োগ চাহিদা কম। সাধারণভাবে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের ঘরে থাকলেও ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো তা নামে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে। করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর ২০২০ সালের মে মাস শেষে প্রবৃদ্ধি নামে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে। তবে জুন থেকে বাড়তে থাকে।
প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ঋণপ্রবাহে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ফেব্রুয়ারিতে কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৭২ শতাংশে। মার্চে আবার বেড়ে হয় ১১ দশমিক ২৯ ও এপ্রিলে ১২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। মে মাসে প্রবৃদ্ধি আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। জুনে ঋণ প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ। জুলাইয়ে ছিল ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। বেসরকারি খাতে ঋণ দেওয়ার পরিমাণ আগস্টে বেড়ে হয়েছিল ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। গত ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে ঋণে প্রবৃদ্ধি হয় ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ।