রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ অপরাহ্ন

শান্তির পথ ছেড়ে আবারো কি যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে জাপান?

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪, ১.০৩ পিএম
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে
ছবি: সংগ্রহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যেকোনো ধরনের বিরোধ নিষ্পত্তিতে কার্যকর উপায় হিসেবে যুদ্ধ বা সহিংসতার বিরোধিতা করে আসছে জাপান। তবে তবে বর্তমানে চীন ও উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে ধীরে ধীরে সেই ‘শান্তিকামী’ নীতি থেকে সরে আসছে টোকিও। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য ও ইতালির সঙ্গে উন্নতমানের যুদ্ধবিমান তৈরি করে রফতানির অনুমোদন দিয়েছে জাপানি মন্ত্রিসভা।

সংবাদাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদেশে অস্ত্র রপ্তানির বিধি শিথিল করেছে জাপান। তাই এখন থেকে প্রতিরক্ষা চুক্তি রয়েছে এমন দেশ এবং যেসব দেশে কোনো যুদ্ধ চলমান নেই সেখানে যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে পারবে তারা। এ ছাড়া চীন ও উত্তর কোরিয়ার হুমকির কথা বলে ২০২৭ সালের মধ্যে সামরিক ব্যয় দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

২০২৭ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে ৩১১ বিলিয়ন মার্কিন খরচ করবে জাপান। এই পরিমাণ অর্থ বিশ্বের চার নম্বর ধনী দেশটির মোট জিডিপির দুই শতাংশ। এ ছাড়া এই অর্থ আগের পাঁচ বছরের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের অধিকৃত জাপান একটি সংবিধান প্রণয়ন করে যেখানে আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে যুদ্ধ ও শক্তির ব্যবহার নিষেধ করা হয়। এমনকি ওই সংবিধানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাপানে সামরিক বাহিনীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তাদের সক্ষমতা শুধু আত্মরক্ষার মধ্যে সীমিত রাখা হয়। এতে অস্ত্র রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ছিল। যদিও ২০১৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের আমলে এই বিধিনিষেধ প্রথমবারের মতো শিথিল করা হয়।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে জাপান একটি যুক্তরাজ্য-ইতালি সহযোগিতা প্রকল্পে যোগ দেয়, যাকে বলা হয় ‘টেম্পেস্ট’। যৌথ উদ্যোগের এই নতুন যুদ্ধবিমানে পাইলটদের সহায়তা করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং উন্নত সেন্সর ব্যবহার করা হবে। ২০৩৫ সালের মধ্যে জেটগুলো প্রস্তুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর এটিই হবে পশ্চিমের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া অন্য কোনো দেশের সঙ্গে টোকিওর প্রথম প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উন্নয়ন অংশীদারত্ব।

জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, ভবিষ্যতে অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রকল্পে অংশীদার হিসেবে টোকিওর বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে তৃতীয় দেশে যুদ্ধবিমান রফতানির অনুমতি দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

সমালোচকরা বলছেন, জাপান তাদের সেই যুদ্ধবিরোধী ও শান্তিকামী দেশের ইমেজ পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। অবশ্য জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিনোরু কিহারা বলছেন, জাপান এখনো শান্তিকামী দর্শনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিদেশে অস্ত্র রফতানির বিষয়টি কঠোর নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 The Daily Sky
Theme Developed BY ThemesBazar.Com