টেকনাফ ও কক্সবাজার সংবাদদাতা॥
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। রোববার ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত থেকে থেমে থেমে মর্টার শেল ও গুলির বিকট শব্দ শোনা গেছে কক্সবাজারে টেকনাফ সীমান্তে। এ জন্য আতঙ্কে রয়েছেন ওই সীমান্ত এলাকার লোকজন।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নুর কবির বলেন, সকাল থেকে সীমান্তে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার লোকজন ভয়ের মধ্যে আছেন।
সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর রোববার রাতে আবারো মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। এ জন্য হোয়াইক্যং সীমান্তের খারাংখালী, নয়া বাজার, মিনাবাজার, কানজর পাড়া, জিম্মখালী, উনচিপ্রাং, লম্বাবিল সীমান্তে ভারী গোলার বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া হ্নীলা, টেকনাফ পৌরসভা এবং সাবরাং সীমান্তে বসবাসকারীরা ভারী গোলার শব্দ পেয়ে মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
টেকনাফের হ্নীলা ইউপির চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, সীমান্তের ওপার মিয়ানমার থেকে থেমে থেমে ভারী মর্টারশেলের শব্দ শুনতে পাই। এসব গোলার শব্দ এখন নিয়মিত ঘটনার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা, মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ চলমান রয়েছে।
হোয়াইক্যং সীমান্তে বসবাসকারী মোহাম্মদ ফারুক বলেন, কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর রাত থেকে নাফ নদের ওপারে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। সীমান্ত এলাকার লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন।
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, সীমান্তে গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। অন্যদিনের তুলনার আজকের শব্দ বিকট।
এদিকে, মিয়ানমার মংডু ও বুথেডংয়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার এলাকায় নাফ নদী ও সীমান্ত সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ড টহল বৃদ্ধি করেছে।
বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, সীমান্ত অনুপ্রবেশ ঠেকানার পাশাপাশি যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছেন বিজিবি সদস্যরা।