টিডিএস ডেস্ক॥
জোড়া হত্যাকাণ্ডের ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও বগুড়ার শাজাহানপুরের আলোচিত স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী সন্ত্রাসী সাগর তালুকদার ও তার সহযোগী স্বপন প্রামাণিক খুনের ঘটনায় কেউ ধরা পড়েনি। তবে এ আলোচিত খুনের ঘটনায় আশেকপুর ইউপি চেয়ারম্যান স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হযরত আলীসহ ৩১ ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সাগরের ছোট বোন রোকসানা আকতার বর্ষা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এজাহার নামীয় ১৯ জন ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনসহ মোট ৩১ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, শাবরুলের পার্শ্ববর্তী এলাকা দেসমা হোদ্দপুর গ্রামে পুকুর পত্তন নিয়ে মাছ চাষ করছিলেন সাগর তালুকদার। গত রোববার বিকেল ৫টার দিকে একটি জিক্সার মোটরসাইকেলযোগে ওই পুকুরে মাছের খাবার দিতে গিয়েছিলেন সাগর তালুকদার এবং তার ২ সহযোগী স্বপন প্রামাণিক ও মুক্তার হোসেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে শাবরুল ছোট মন্ডলপাড়া জনৈক শফিকুল ইসলামের বাড়ির পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র আক্রান্ত হন তারা।
এ সময় সেখানে চাপাতি, চাকু, রামদা, চায়নিজ কুড়ালসহ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওত পেতে থাকা আসামিরা সাগর তালুকদারের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সাগর তালুকদারকে খুন করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জীবন বাচাঁতে স্বপন প্রামাণিক এবং মুক্তার হোসেন ঘটনাস্থল থেকে দৌড় দেন। মুক্তার হোসেন পালতে সক্ষম হলেও স্বপন প্রামানিককে আসামিরা ধরে ফেলেন। তারা তাকেও কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর আসামিরা পালিয়ে যান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাজাহানপুর থানার এসআই শাজাহান আলী জানিয়েছেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসামিদের গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় নিতে কাজ চলছে।
জোড়া খুনের ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে শাজাহানপুর থানার ওসি ওয়াদুদ আলম জানিয়েছেন, মামলার ক্লু উদ্ধার এবং আাসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।