রাজধানীর মিরপুরে ৩০ কোম্পানির বাসে আজ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল ই-টিকিট সেবা। সকাল থেকেই কয়েকটি বাসে এই সেবা চালু হলেও অধিকাংশ বাসেই দেখা যায়নি ই-টিকিটিংয়ের পজ মেশিন। পজ মেশিন না থাকায় সেগুলোতে আগের নিয়মেই ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। তবে যেসব পরিবহনে ই-টিকিটিং চালু হয়েছে, তার যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিক উভয়েই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
আজ রোববার সকালে মিরপুর ২ ও ১০ নম্বর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মিরপুর ২ নম্বর এলাকা থেকে উত্তরায় যাওয়া প্রজাপতি পরিবহনের কয়েকটি গাড়িতে ই-টিকিট কেটে যাচ্ছিলেন যাত্রীরা। একই কোম্পানির কিছু বাস আবার আগের মতোই হাতে হাতে ভাড়া তুলছিল।
সাব্বির আহমেদ নামে ই-টিকিট কাটা প্রজাপতি পরিবহনের এক যাত্রী জানান, ই-টিকিট হওয়াতে এখন আর হেলপার ও কন্ডাক্টরের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বচসা হচ্ছে না। আগে ১৬ টাকার ভাড়া ২০ টাকা, ৩৫ টাকার ভাড়া ৪০ টাকা দিতে হতো। এখন আর এই ঝামেলা নেই।
যাত্রীরা বলছেন, তাঁরা যে পর্যন্ত ভ্রমণ করছেন, ঠিক সে পর্যন্তই ভাড়া রাখা হচ্ছে। এ ব্যবস্থা সব পরিবহনে চালু হলে কমবে ভোগান্তি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়।
মিরপুর ১০ থেকে রাজধানী পরিবহনের এক যাত্রী জানান, আগে ভাড়া নিয়ে অনেক সমস্যা ছিল। একেক দিন একেক ভাড়া চাইত। এখন একটি নির্দিষ্ট ভাড়া নিচ্ছে। গাড়ির ভেতরে ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বও কমেছে। সব বাসে এমন হলে শান্তি লাগবে।
এদিকে যেসব বাসে ই-টিকিট চালু করেনি, সেগুলোতে আগের নিয়মেই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। মিরপুর-১০ নম্বরে বিহঙ্গ বাসের যাত্রী হানিফ বলেন, ‘শুনেছি সব বাসে ই-টিকিট হবে। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকটা বাসেই তা দেখলাম। আগের নিয়মেই ভাড়া নিচ্ছে আমাদের কাছে।’
বাসের চালক ও সহকারীরা বলছেন, আজ থেকে চালু হওয়ার কথা থাকলেও পজ মেশিন না পাওয়ায় তাঁরা ই-টিকিট চালু করতে পারেননি। তবে কাল বা পরশু থেকেই তাঁরা চালু করবেন।
সেফটি বাসের চালকের সহকারী তসলিম বলেন, মালিকের ১২টি বাস আছে। কিন্তু তিনি পজ মেশিন পেয়েছেন চারটি মাত্র। তাই সব বাসে দিতে পারেননি। তবে কাল বা পরশু সব বাসেই পজ মেশিন দেবেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেছেন, ‘অধিকাংশ বাসেই ই-টিকিট চালু হয়েছে। তবে পজ মেশিন ব্যবহার করার পর্যাপ্ত দক্ষ লোকের অভাবে কয়েকটি বাস এখনো এটি শুরু করতে পারেনি। তাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি, তারা দ্রুত চালু করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। এর আগে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি মিরপুর রুটের সব পরিবহনেই ই-টিকিটিং চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন।