রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ অপরাহ্ন

এখনো শুরু হয়নি সরকারি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম: ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ১০.২৭ এএম
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশে কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ) চলছে। প্রাথমিকভাবে ৯ দিনের বিধিনিষেধের পর সাত দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এখন তা আরো সাত দিন বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত করা হয়েছে। এ লকডাউনে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। তারা কাজ হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। কিন্তু এখনো ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরুই করতে পারেনি সরকার।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বরাদ্দ ইতোমধ্যে মাঠপর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ত্রাণ দিতে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। শিগগিরই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। গত ৮ এপ্রিল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানায়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে বিধিনিষেধ আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মহীন মানুষকে মানবিক সহায়তা দিতে সরকার ৫৭২ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রায় এক কোটি ২৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০০ পরিবারকে ভিজিএফ (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) কর্মসূচির আওতায় এ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। পরিবারপ্রতি ৪৫ টাকা কেজি দরে ১০ কেজি চালের সমমূল্য অর্থাৎ কার্ডপ্রতি ৪৫০ টাকা হারে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে নিম্নআয়ের প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষক পরিবার পাবে পাঁচ হাজার করে টাকা।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আতিকুল হক বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের ত্রাণ বিতরণের প্রস্তুতি আছে। আমরা পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বরাদ্দ পাঠিয়েছি। তারা তালিকা প্রস্তুত করছে, কারা ক্ষতিগ্রস্ত, কারা ত্রাণ পেতে পারে। আমরা হয়তো খুব তাড়াতাড়ি ত্রাণ বিতরণ শুরু করতে পারব। সিচুয়েশনটা আমরা অবজার্ভ (পর্যবেক্ষণ) করছি।’

তিনি বলেন, ‘লকডাউনে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, কিছু কিছু উইংস তো এখনো খোলা আছে। লকডাউন আরো সাত দিন বেড়েছে। এরই মধ্যে হয়তো আমরা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করব।’

জিএফ, জিআর-এর আওতায় ত্রাণ কার্যক্রম ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ক নীতিমালাটা হয়তো আমরা আজ-কালকের মধ্যে পেয়ে যেতে পারি। পেয়ে গেলে আমাদের যে রিসোর্স আছে, মাঠ পর্যায়ে আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারব, কোনো সমস্যা হবে না।’

মহাপরিচালক আরো বলেন, ‘আমরা ভিজিএফ, জিআর ক্যাটাগরিতে পরিবারপ্রতি ৫০০ ও ৪৫০ টাকা দেব। এ ছাড়া খাবারের প্যাকেট দেওয়ারও প্রস্তুতি আছে। ঢাকা থেকে আলু কিনতে হলে অনেক টাকা লাগে। আমরা যদি উপজেলা পর্যায়ে টাকা দেই, এই আলুই চার ভাগের এক ভাগ টাকায় কেনা যাবে। গত বছর জেলা পর্যায়ে টাকা দিয়েছিলাম, তারা অনেক কম টাকায় জিনিসগুলো কিনে প্যাকেট করে ত্রাণ হিসেবে বিতরণ করেছিল।’

তিনি আরো বলেন, ‘গত বছর ত্রাণ কার্যক্রমে যে সমস্যার উদ্ভব হয়েছিল, সেগুলো যাতে আর না হয় সেটা বিবেচনা করেই আমরা এগোচ্ছি। আমরা নিয়মিত অফিস করছি, প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

ত্রাণ বিতরণে কোনো আর্থিক সংকট নেই জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের গোডাউনে খাবার প্রবেশ করা শুরু হয়েছে। আরো টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। খাবার দ্রুত সরবরাহ নিতে পারি। তবে খাবার বিতরণের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরা নেইনি। মন্ত্রী, সচিব, সবাই আমরা বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 The Daily Sky
Theme Developed BY ThemesBazar.Com