এফবিডি ডেস্ক॥
বুধবার সকাল ৯ টা। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়েকে বাসে তুলে দিতে মিরপুর গোলচত্বরে এসেছেন ব্যবসায়ী মুরাদ হোসেন। হঠাৎ চোখে পড়ে এক ভিক্ষুরের হাতে এক বান্ডিল পরীক্ষার খাতা। সন্দেহ জাগে মুরাদের। হাতে নিয়ে দেখেন চলমান এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি প্রথম পত্রের লিখিত খাতা। পরে খাতাগুলো কাফরুল থানায় জমা দেন তিনি।
মুরাদ হোসেন বলেন, ‘সকালে মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাসে তুলে দিতে মিরপুর গোলচত্বরে আসি। হঠাৎ দেখি এক ভিক্ষুকের হাতে এক বান্ডিল খাতা। ওই ভিক্ষুক জানান, তিনি রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছেন। এখন বিক্রি করতে দোকানে যাচ্ছেন। আমরা সন্দেহ হলে খাতাগুলো হাতে নিয়ে দেখি চলতি এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি প্রথম পত্রের খাতা।’
তিনি আরও বলেন, বান্ডিলে ৫০টি খাতা রয়েছে। এই পরীক্ষা হয়েছিল গত ১০ নভেম্বর। আমিসহ বেশ কয়েকজন ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থানীয় থানায় জমা দিতে বলা হয়। পরে আমি খাতাগুলো দুপুর ১টার দিকে কাফরুল থানায় জমা দিয়ে দিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে কাফরুল থানার ডিউটি অফিসার হেলেনা পারভীন বলেন, একজন পথচারী খাতাগুলো রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়ে থানায় জমা দিয়েছেন। বোর্ড থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। এখনো খাতা নিয়ে কেউ থানায় আসেননি।
ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘পরীক্ষার খাতা দেখার জন্য একজন শিক্ষক বোর্ড থেকে খাতাগুলো নিয়ে বাসায় যাচ্ছিলেন। এ সময় হয়ত কোনোভাবে খাতাগুলো রাস্তায় পড়ে গেছে। বোর্ড থেকে খাতা আনতে কাফরুল থানায় লোক পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ওই শিক্ষককে বোর্ডে ডাকা হয়েছে খাতাগুরো কিভাবে রাস্তায় পড়ে গেল তা জানান জন্য। আমরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, বোর্ড থেকে দেখার জন্য খাতাগুলো নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাসায় যাচ্ছিলেন রাজধানীর শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক মো. ইব্রাহিম হোসাইন। বাইকের পেছনে খাতাগুলো বাঁধা ছিল। অসতর্কতার কারণে খাতাগুলো রাস্তায় পড়ে যায়।