এফবিডি ডেস্ক॥
রফতানির জন্য তৈরি পোশাকপণ্য বন্দরে নেওয়ার পথে সড়কেই চুরি হয়ে যাচ্ছে। বিদেশে ক্রেতাদের কাছে পণ্য পৌঁছানোর পর চুরির বিষয়গুলো ধরা পড়ছে। এতে করে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে দেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের। এ জন্য ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চালকদের কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়েছেন বিজিএমইএ নেতারা।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় উভয় সংগঠনের নেতারা পরিবহনের সময় পোশাক শিল্পের পণ্য চুরি রোধে রফতানিকারক, পরিবহন মালিক, পুলিশ প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছেন।
বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে দুই অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে অনুষ্ঠিত সভায় এ বিষয়ে আহ্বান জানানো হয়। এ সময় জানানো হয় মহাসড়কে পোশাক শিল্পের পণ্য পরিবহনের সময় চুরি বন্ধ করতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বৈঠকে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, সহ-সভাপতি মো. শহিদউল্লাহ আজিম, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মজুমদার, নির্বাহী সভাপতি সৈয়দ মো. বখতিয়ার, সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দুই সংগঠনের নেতারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পোশাক শিল্পের রফতানি পণ্য চুরি বন্ধের ব্যবস্থা ও উপায় নিয়ে আলোচনা করার জন্য আলোচনায় বসেন।
নেতারা বলেন, আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও চুরির ঘটনা রফতানিকারকদের বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেয়, যখন কি না পণ্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানোর পর এই চুরির ঘটনা ধরা পড়ে। তারা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সব পোশাক কারখানাগুলোকে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের লাইসেন্সসহ চালক, হেলপারদের ছবি এবং ট্রাভেল ডকুমেন্ট রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। বিজিএমইএ নেতারা পরিবহনের সময় পণ্য চুরি প্রতিরোধের পদক্ষেপ হিসেবে পণ্যবাহী সব কার্গো ভ্যানে জিপিএস ট্র্যাকার নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ ও সবুজ শিল্প হিসেবে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে এবং এই অর্জন আমাদের সবাইকে ধরে রাখতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চুরির ঘটনা বন্ধ করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, বিশেষ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে মহাসড়কে নজরদারি আরও জোরদার করতে হবে।’