এফবিডি ডেস্ক॥
করোমা মহামারি ও বৈশ্বিক মহামন্দার মধ্যে সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির জন্য পদ্মা ও মেঘনা নামে নতুন দুটি বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রোববার অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় নতুন বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয় বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন যেহতু আমরা সাশ্রয় করছি, এখন দুটো বিভাগ করতে গেলে অনেক খরচ হবে, এ কারণে আপাতত এটাকে স্থগিত করা হয়েছে। নিকার সভায় অন্য এজেন্ডাগুলো অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
গত বছরের অক্টোবরে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা ও মেঘনা নদীর নামে নতুন বিভাগ করবেন বলে ঘোষণা দেন।
ফরিদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরকে নিয়ে পদ্মা বিভাগ এবং কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলা নিয়ে মেঘনা বিভাগ গঠনের কথা রয়েছে।
এই দুই বিভাগ হলে দেশে মোট বিভাগের সংখ্যা দাঁড়াত ১০টিতে।
বৃহত্তর কুমিল্লা ও বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল নিয়ে নতুন বিভাগ করার বিষয়টি গত কয়েক বছর ধরে আলোচনায় রয়েছে। নতুন বিভাগের নাম কী হবে, তা নিয়ে পাল্টাপাল্টি দাবি রয়েছে কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলার রাজনৈতিক নেতাদের।
গত বছরের ২১ অক্টোবর কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের অফিস ভবনের উদ্বোধনী আয়োজনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “স্বাধীনতা যুদ্ধের ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’ স্লোগানের আদলে নদীর নামে হবে এ বিভাগ দুটির নাম। ফরিদপুর বিভাগের নাম হবে ‘পদ্মা’ আর ‘মেঘনা’ হবে কুমিল্লা বিভাগের নাম।”
কুমিল্লা সদর আসনের এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ওইদিন কুমিল্লা বিভাগের নাম কুমিল্লাই রাখার জন্য কয়েকবার অনুরোধ করেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার কাছে কাছে।
প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, ‘ওই কু নাম দেব না আমি। কুমিল্লা দেব না আমি।’
পরে ডিসেম্বর মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়ও প্রধানমন্ত্রী নদীর নামে নতুন বিভাগ করার কথা বলেন।
এদিকে শনিবার কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে ‘কুমিল্লা’ নামেই বিভাগ হবে। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলকে পছন্দ করে না।