ডেস্ক রিপোর্ট॥
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না। সীমান্তে মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপের বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা হবে। প্রয়োজনে অভিযোগ জানানো হবে জাতিসংঘে। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবাদ করেছে ঢাকা। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও মিয়ানমার একের পর এক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করছে। এতে করে ওই এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যে শুধু আতঙ্কই ছড়িয়ে পড়ছে না, একজন মারাও গেছেন। অনেকেই হতাহত হয়েছেন। তবে মিয়ানমারের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে আমরা শুধু তীব্র প্রতিবাদই জানাচ্ছি না, প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তুলে ধরা হবে। আমরা সেভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কথা বলে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, তবে মিয়ানমারের কোনো উস্কানিতে আমরা পা দিবো না। এ ধরনের সমস্যা কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা যায় সে চেষ্টা আমরা অব্যাহত রেখেছি। বাংলাদেশ কখনো প্রতিবেশীর সঙ্গে যুদ্ধ চায় না।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম কোনার পাড়া সীমান্তে মিয়ানমারের ছোড়া ৪টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন রোহিঙ্গা শিশুসহ ৬ জন।। এ ঘটনার পর ঘুমধুম সীমান্তে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
প্রসঙ্গত, প্রায় এক মাস ধরে সীমান্তে উত্তেজনা চলছে। ওপারে মিয়ানমার থেকে মর্টার শেলসহ নানা ভারী অস্ত্রের আওয়াজে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু ও বাইশপারী এলাকার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। গত ২৮ আগস্ট তমব্রু উত্তরপাড়ায় এসে পড়েছে একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল। সেদিনই সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান চক্কর দিতে দেখা যায়।
এর আগে, গত ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের দুটি যুদ্ধবিমান ও ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া দুটি গোলা ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পড়ে। সেগুলো অবিস্ফোরিত থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।