শাহজাদপুরে তুচ্ছ ঘটনায় প্রবীন ব্যক্তিকে মারধোর ৮ দিনে ফেরেনি জ্ঞান-ধরাছোঁয়ার বাহিরে আসামীরা
শাহজাদপুর সংবাদদাতা॥
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে মানুদাকান্ত লাহিড়ী নামে এক প্রবীন ব্যক্তিকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে বাপ ও দুই ছেলে। এঘটনায় মানুদাকান্ত লাহিড়ী স্ত্রী শান্তনা লাহিড়ী বাদি হয়ে শাহজাদপুর থানায় ৩ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে। অপরদিকে মানুদাকান্ত লাহিড়ী মৃত্যু শয্যায় ৮ দিন যাবৎ ঢাকার ধানমন্ডিস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালে আইসিইউ এর লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও কাউকে আটক করতে পারেনি থানা পুলিশ।
গুরুতর আহত মানুদাকান্ত লাহিড়ী (৬২) উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের জামিরতা গুধিবাড়ী গ্রামের মৃত লক্ষীকান্ত লাহিড়ীর ছেলে। ঘটনায় জড়িত মূলহোতা একই গ্রামের মশিউর রহমান(৪৫) ও তার দুই ছেলে আবির রহমান (২৫) ও নিবির রহমান সনি (২২)। একালাবাসী ও আহতের স্ত্রী শান্তনা লাহিড়ী জানান, একই গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে আবির রহমান ও নিবির রহমান সনি বাড়ীর সামনের সড়কের চা স্টলে গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারী) ইয়ার্কি-ফাজলামি করতে থাকে। এ সময় বয়োজ্ব্যেষ্ঠ মানুদাকান্ত লাহিড়ী তাদের বারণ করে এবং তাদের চুল বড়-বড় থাকায় কাটতে বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবির ও সনির বাবা মশিউর রহমান মানুদাকান্তকে জরুরী কথা আছে বলে ফোন করে তাদের বাড়ির সামনে ডেকে নেয়। মনুদাকান্ত সরল বিশ্বাসে সেখানে পৌঁছানো মাত্রই মশিউর রহমানের নির্দেশে তার ২ বখাটে ছেলে আবির ও সনি তাদের সহযোগী কয়েকজন বখাটে যুবক দিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মানুদাকান্ত লাহিড়ীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধোর করে। এসময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে তখন আসামীগন বিভিন্ন ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এক পর্যায়ে মানুদাকান্ত নাক মুখ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান। বর্তমানে ঢাকার ধানমন্ডিস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউ এর লাইফ সাপোর্টে মানুদাকান্ত ৮ দিন যাবৎ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি বলে স্বজনেরা নিশ্চিত করেছেন।
এব্যপারে জানতে চাইলে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) খায়রুল বাসার জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এবিষয়ে শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। শাহজাদপুর থানা পুলিশ ছাড়াও আইন শৃঙ্খলার বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা আসামীদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে। আশা করি দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।