নিজস্ব প্রতিবেদক
ই-কমার্স প্রতারণা মামলায় জামিনে বের হয়েই তিনি আবারো নতুন নতুন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নাম করে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে। উক্ত ব্যাক্তির প্রতারণা থেকে বাঁচতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।
বিভিন্ন অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ঢাকা জেলাস্থ সাভার উপজেলার পশ্চিম রাজাসনের (আনন্দধারা) জলপাই বাগানের মৃত: শামছুদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মুরাদ চৌধুরী (৫৬) গ্লোবাল গেইন ও তাজ কর্পোরেশন নামক দুটি প্রতিষ্ঠানের সক্রিয় সদস্য হিসেবে প্রতারণাপুর্বক গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এই অভিযোগে গত বছরের ৭ অক্টোবর সে আটক হয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের হাতে। যদিও পরবর্তীতে সে জামিনে মুক্তি পায়, তথাপী এ ব্যাপারে একটি মামলা চলমান আছে আদালতে। অভিযোগ উঠেছে, জামিনে মুক্তি পেয়ে মুরাদ চৌধুরী পুন:রায় বিভিন্ন ই-কমার্স ব্যবসার নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করে আসছে।
শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, তথ্য গোপন করে একাধিক বিয়ে, যৌতুক দাবী ও নারী পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে ঢাকা জজ কোর্টে পৃথক দুটি মামলা চলমান রয়েছে।
মামলার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মুরাদ চৌধুরী পুর্বের বিয়ের তথ্য গোপন করে গত ২০১৯ সালের ৪ অক্টোবর এক নারীকে ফুসলিয়ে বিয়ে করে। পরবর্তীতে তার এক স্ত্রী, দুই পুত্র এবং এক কন্যা সন্তান আছে বলে জানা যায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে মুরাদ তার দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে নানাভাবে হয়রানী ও নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় প্রতারণার স্বীকার ওই নারী পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে, যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মুরাদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন-আমি বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছি। নতুন করে ব্যবসা শুরু করেছি সোজা হয়ে দাঁড়ানোর জন্য। যে মেয়েটিকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছি, তার সাথে আমার কোন বিবাদ নেই। মামলা আপোষের চেষ্টা চলছে।