সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২, ১১.৩৭ এএম
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

৪২ শতাংশ ডেনিম রপ্তানি বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে

বাংলাদেশের পোশাকের সুনাম বিশ্বজুড়েই। তৈরি পোশাক খাতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আর ডেনিমে বাংলাদেশ রয়েছে সবার শীর্ষে। বলা হয়ে থাকে, গুণগত মানে অনেক ভালো হওয়ায় এবং দামও সাশ্রয়ী হওয়ায় বিশ্ববাসীর কাছে জনপ্রিয় এ দেশের ডেনিম।

বৈশ্বিক সংকট সত্ত্বেও চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ ডেনিম রপ্তানি করেছে ৭৪ কোটি ডলারের। এতে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ডেনিম রপ্তানিতে ৪২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) সম্প্রতি এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।

অটেক্সার তথ্য থেকে জানা যায়, গত বছরের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ ডেনিম রপ্তানি করেছিল ৫২ কোটি ডলারের। চলতি বছরের একই সময়ে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে ৭৩ দশমিক ৮ কোটি ডলারের ডেনিম। এর মাধ্যমে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি বছরে এটি রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৪২ শতাংশ।

অটেক্সার তথ্য বলছে, বাংলাদেশের পরেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডেনিম রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে দেশটি রপ্তানি করেছে ৫৬ দশমিক ১ কোটি ডলার। আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৭ কোটি ডলার। এতে এ বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ শতাংশ।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডেনিম রপ্তানিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটি এ সময়ে ডেনিম রপ্তানি করেছে ৩৭ দশমিক ৬ কোটি ডলার। আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৭ দশমিক ৫ কোটি ডলার। এ বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

এরপর যথাক্রমে রয়েছে ভিয়েতনাম, চীন, মিসর ও কম্বোডিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দেশগুলো এ সময় ডেনিম রপ্তানি করেছে যথাক্রমে ৩৪ দশমিক ৮ কোটি ডলার, ২৯ দশমিক ১ কোটি ডলার, ১৭ দশমিক ৮ কোটি ডলার এবং ১৬ দশমিক ৮ কোটি ডলার। এতে দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ২৫ শতাংশ, ৬ শতাংশ, ৬০ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং ৪৭ দশমিক ৪০ শতাংশ।

ডেনিম রপ্তানিতে এমন সাফল্যের বিষয়ে পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা ডেনিম রপ্তানিতে বিশ্বে এক নম্বরে অবস্থান করছি। আর তৈরি পোশাকে আমরা দ্বিতীয়তে অবস্থান করছি। সারা বিশ্বের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রেও ডেনিমে আমরা ভালো করছি।’

তিনি বলেন, ‘ডেনিমে যে ফেব্রিক দরকার পড়ে তার কয়েকটা ফেব্রিক মিলস হয়েছে। পাশাপাশি ডেনিমে যে ওয়াশিং দরকার পড়ে তার জন্যও আমাদের বেশ কিছু লন্ড্রি ও উন্নতমানের ওয়াশিং ফ্যাক্টরি রয়েছে। এসব কিছু মিলে আমরা ডেনিমে অনেক ভালো করছি এবং আগামীতেও আরও ভালো করব। ডেনিমে আমরা অনেক বিনিয়োগ করেছি।’

উন্নত প্রযুক্তির বিষয়ে ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা আরও উন্নত প্রযুক্তি হালনাগাদ করেছি। নিট আমরা ভালো করেছি। নিটের ৮০ শতাংশের বেশি ফেব্রিক আমরা নিজেরাই করে থাকি। যেহেতু প্রায় সবকিছুই আমাদের নিজস্ব তাই আশা করি ডেনিমে আমরা শীর্ষ অবস্থানটা ধরে রাখতে পারব।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 The Daily Sky
Theme Developed BY ThemesBazar.Com