এফবিডি ডেস্ক॥
তুলনামূলক ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২১ সালে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ জন। উত্তীর্ণ হয়েছিল ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬। অর্থাৎ গত বছর ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৪৯ শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমলেও অকৃতকার্যের সংখ্যা গতবারের চেয়ে এক লাখের বেশি বেড়েছে।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়া ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেনি ২ লাখ ৫০ হাজার ৫১৮ জন।
এর মধ্যে অকৃতকার্য ছেলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ২৮ হাজার ১৪৭, আর মেয়েদের মধ্যে পরীক্ষার বাধা অতিক্রম করতে পারেনি ১ লাখ ২২ হাজার ৩৭৩ জন।
এবার পরীক্ষায় ছেলে শিক্ষার্থী ছিল ৯ লাখ ৯৮ হাজার ১৯৩ জন। ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৯৪৪ মেয়ে এ পরীক্ষায় অংশ নেয়।
তুলনামূলক ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২১ সালে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ জন। উত্তীর্ণ হয়েছিল ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬। অর্থাৎ গত বছর ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৪৯ শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমলেও অকৃতকার্যের সংখ্যা গতবারের চেয়ে এক লাখের বেশি বেড়েছে।
এ বছর ২ হাজার ৯৭৫টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে, তবে ৫০টি প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি। গত বছর এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১৮। ২০২১ সালে শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠান ছিল ৫ হাজার ৪৯৪।
এবার পরীক্ষায় সামগ্রিকভাবে পাসের হারও কমেছে। এসএসসিতে এ বছর পাস করেছে ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী, গতবার এই হার ছিল ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। সে হিসাবে পাস কমেছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ।
তবে গত বছরের চেয়ে এবার জিপিএ ফাইভ বেড়েছে প্রায় ১ লাখ। চলতি বছর জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ শিক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ শিক্ষার্থী।
এবার সাধারণ বোর্ডে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬৩ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮৮ দশমিক ১০ শতাংশ।
দাখিলে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪৫৭ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮২ দশমিক ২২ শতাংশ।
কারিগরি বোর্ডে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১৮ হাজার ৬৫৫ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সোমবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ফল প্রকাশ করেন।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক।
এর আগে বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সার্বিক পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। পরে বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান তাদের ফলের পরিসংখ্যান সরকারপ্রধানের হাতে তুলে দেন।