দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরুর দুদিন আগে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে এই নাটকীয়তার জন্ম দিলেন রওশন।
ডেস্ক রিপোর্ট॥
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মজিবুল হক চন্নুকে ‘অব্যাহতি’ দিয়ে নিজেই দলের হাল ধরার ঘোষণা দিয়েছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ।
রোববার গুলশানে নিজের বাসায় দলের ‘ক্ষুব্ধ ও বঞ্চিত’ নেতা-কর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করে এই ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের স্ত্রী।
রোববার গুলশানে নিজের বাসায় দলের ‘ক্ষুব্ধ ও বঞ্চিত’ নেতা-কর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় রওশন এরশাদ।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, “পার্টির ভালোর জন্য, পার্টির ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার জন্য আমি নিজে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিলাম এবং পরবর্তী কাউন্সিল না হওয়া পর্যন্ত মামুনুর রশীদকে মহাসচিবের দায়িত্ব প্রদান করলাম। তিনি সার্বিকভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।”
পার্টির অন্যান্য পদে যারা আছেন, তাদের বহাল রেখে পার্টির যেসব নেতাকে জি এম কাদেরের সিদ্ধান্তে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে কিংবা বহিষ্কার করা হয়েছে এবং যাদের পার্টির কমিটির বাহিরে রাখা হয়েছিল, তাদের আগের পদে ‘পুনর্বহালের’ ঘোষণা দিয়ে রওশন বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে পার্টির জাতীয় সম্মেলন আহ্বান করবেন তিনি।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ এ সময় তুমুল করতালি দিয়ে এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়।
নিজেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা রওশনের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরুর দুদিন আগে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে এই নাটকীয়তার জন্ম দিলেন রওশন। দেবর জিএম কাদেরের সঙ্গে মতবিরোধে গত সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন নিজে এবার নির্বাচনে অংশ নেননি। তার অনুসারীদের কাউকেই মনোনয়ন দেয়নি জাতীয় পার্টি।
রওশনের এই ঘোষণা নিয়ে জিএম কাদের বা মজিবুল হক চন্নুর প্রতিক্রিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।
রওশনের কাছ থেকে মহাসচিবের দায়িত্ব পাওয়া কাজী মামুনুর রশিদ মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “পরবর্তী কাউন্সিল হওয়া পর্যন্ত আমি মহাসচিব হিসেবে থাকব। আমি চেষ্টা করব সংগঠনের গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে। ফেব্রুয়ারিতে অথবা মার্চের প্রথম সপ্তাহে কাউন্সিল হবে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইফুল ইসলাম সেন্টু, যাকে সম্প্রতি অব্যহতি দেওয়া হয়েছিল। এরশাদের ছেলে রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদও উপস্থিত ছিলেন মত বিনিময়ে।
এছাড়া পার্টির অ্যাবহতিপ্রাপ্ত প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, অব্যাহতিপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান জাঙ্গীর আলম পাঠান, ইয়াহিয়া চৌধুরী, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম সারোয়ার মিলন, অধ্যাপক দেলায়ার হোসেন খান, রফিুকুল হক হাফিজকে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের মধ্যে।