১ লাখ ৪০ হাজার টন ইউরিয়া ও মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার কিনতে যাচ্ছে সরকার। রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় কাতার, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা হবে ১ লাখ ১০ হাজার টন। বাকি ৩০ হাজার টন সার কেনা হবে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে।
এই সার কিনতে খরচ হবে ৯৭৭ কোটি ১২ লাখ ১৩ হাজার ২৮৮ টাকা। এর মধ্যে ৪১৪ কোটি ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৩০০ টাকা খরচ হবে ৫০ হাজার টন এমওপি সার আমদানি বাবদ।
আজ বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩৫তম বৈঠকে সার কেনা সংক্রান্ত চারটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য পাঁচটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের তিনটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের একটি প্রস্তাব ছিল।
১ লাখ ৪০ হাজার টন ইউরিয়া ও মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার কিনতে যাচ্ছে সরকার।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষিতে ঋণ বিতরণ বাড়ানোর নির্দেশ
ক্রয় কমিটির অনুমোদিত পাঁচটি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৩০৪ কোটি ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৩ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৩২৭ কোটি ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৫ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ঋণ ৯৭৭ কোটি ১২ লাখ ১৩ হাজার ২৮৮ টাকা।
অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো হলো– কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে ৮ম লটে ৫০ হাজার টন এমওপি সার ৪১৪ কোটি ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৩০০ টাকায় আমদানি।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ৬ষ্ঠ লটে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৮৮ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার ৬৪৪ টাকায় আমদানি।
কাতারের মুনতাজাত থেকে ১১তম লটে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৮৮ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার ৬৪৪ টাকায় আমদানি এবং বিসিআইসি কর্তৃক কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে ৯ম লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৮৫ কোটি ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৭০০ টাকায় ক্রয়।