এফবিডি ডেস্ক॥
রাঘববোয়াল রেখে চুনোপুঁটি ধরায় দুদক ব্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। রোববার শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক থেকে বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির মামলায় ব্যাংকটির সাবেক কর্মকর্তা এ এস এম হাসানুল কবিরের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদনের শুনানির সময় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
এ সময় দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেন, ঋণখেলাপিরা আইনের চেয়ে শক্তিশালী নয়। তাহলে ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? হাজার হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে খেলাপি হচ্ছে, আপনারা ধরছেন না কেন? যারা বড় বড় ঋণখেলাপি তারা কি বিচারের ঊর্ধ্বে থাকবে? যারা অর্থশালী তারা কি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে? দুদক রাঘববোয়ালদের নয়, শুধু চুনোপুঁটিদের ধরতে ব্যস্ত।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম এ আজিজ খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
২০১৩ সালে এই মামলা হয়। কিন্তু এতোদিনে মামলাটির তদন্ত শেষ না হওয়ায় আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম এ আজিজ খান। দুদক সূত্র জানায়, ব্যাংক কর্মকতাদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে গ্রুপটি ঋণ জালিয়াতি করে। এ ঘটনা অনুসন্ধানে ২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে দুদক। ওই বছরের ৩ নভেম্বর ১২ মামলায় ৫৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি।
অভিযোগ রয়েছে, বিসমিল্লাহ গ্রুপ জনতা ব্যাংক থেকে ৩৯২ কোটি ৫৭ লাখ, প্রাইম থেকে ৩০৬ কোটি ২২ লাখ, যমুনা ব্যাংক থেকে ১৬৩ কোটি ৭৯ লাখ, শাহজালাল ব্যাংক থেকে ১৪৮ কোটি ৭৯ লাখ ও প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে ৬২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নেয়।